জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হ’ত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি এএসএম নাজমুস সাদাতকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
এর আগে তিনি আদালতে আবরারকে মারধরের সময় পানি চাইলেও পানি না দেওয়ার কথা জানান।
সাদাত বলেন, ‘মনির ভাই আমাদের বলে, আবরারকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে আসতে। তখন আমরা নিচে গিয়ে ডেকে নিয়ে আসি। এরপর তাকে অনিক সরকার, সকাল, মোজাহিদ ও মনির ভাইসহ ১৫ ও ১৬ ব্যাচের ভাইরা বেশি মারছে। আবরার পানি খাইতে চাইলেও পানি দেওয়া হয় নাই। আমরা ভাইদের বলেছিলাম হাসপাতালে নিয়ে যাইতে, ভাইরা নিতে দেয় নাই। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমি নিজের রুমে চলে আসি’।
বুধবার রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাতের পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় বিচারক জানতে চায়- তার কিছু বলার আছে কি না? এ সময় বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হ’ত্যা মামলার আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাত এসব বলেন। পরে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া আসমিকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর মো. ওয়াহিদুজ্জামান আসামি সাদাতকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আবরার হ’ত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১৫ নম্বর আসামি সাদাত। এই হ’ত্যার সঙ্গে আসামি সাদাত সরাসরি জড়িত। মামলার তদন্ত, সাক্ষ্য প্রমাণে, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় তার জড়িত থাকা সম্পর্কে যথেষ্ট সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ইতিপূর্বে এ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিকারীদের মধ্যে কয়েকজন আসামি জবানবন্দিতে সাদাতের জড়িত মর্মে নাম প্রকাশ করেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ভারতে পালানোর সময় দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার কাঁঠলাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের এই শিক্ষার্থী জয়পুরহাটের কালাই থানার কালাই উত্তরপাড়ার বাসিন্দা।
আবরার হ’ত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের ১৬ জন আসামি। তিনজন এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। এরা হলেন, মো. জিসান, মো. মোর্শেদ ও মো. তানিম।
৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুমে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হ’ত্যা করা হয় ইলেক্ট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে। এর পরদিন চকবাজার থানায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হ’ত্যা মামলা দায়ের করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।