জুমবাংলা ডেস্ক : গোয়ালন্দে চাঞ্চল্যকর ইমদাদুল হত্যার প্রধান আসামি জাহিদ শেখকে (৩০) শনিবার দিনগত রাতে উপজেলার উজানচর জামতলার হাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
তিনি উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের চর মহিদাপুর গ্রামের ইউনুছ মাতুব্বারের ছেলে।
ইমদাদুলের স্বজনরা রোববার দুপুরে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় আসেন ঘাতক জাহিদ শেখকে দেখতে।
সেখানে ইমদাদুলের ৪ বছর বয়সী কন্যাশিশু জান্নাতুল ফেরদৌসের কান্না ও আবেগঘন দাবিতে এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
সে বারবার তার মাকে বলতে থাকে ‘আব্বুকে যে লোকটা মেরেছে তার ফাঁসি কখন হবে মা? আমরা দেখব না?’
এ সময় চোখের পানি মুছতে মুছতে মা শিল্পী আক্তার বলছিলেন, ‘হবে মা, তোমার আব্বুকে যে মেরেছে তার ফাঁসি অবশ্যই হবে।’
এভাবেই থানায় বাবাহারা ফুটফুটে মেয়ে ও তার মায়ের কথোপকথন শুনে সত্যিই আবেগ ধরে রাখা অসম্ভব।
কাছে যেতেই ফুটফুটে শিশুটি জানায়, আব্বুর খু’নিকে পুলিশ ধরে এনেছে। আমরা তার ফাঁসি দেখতে এসেছি। শিশুটির কথায় মনে হচ্ছিল ওর কোনো নিয়ম-কানুন দেখার ধর্য্য নেই।
জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট নিখোঁজ হওয়ার ১দিন পর পদ্মা নদী থেকে ইমদাদুল সরদারের লা’শ উদ্ধার করে পুলিশ। সে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের চর মহিদাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর সরদারের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আলীরাজ সরদার বাদী হয়ে জাহিদ শেখকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় হ’ত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত ইমদাদুলের বাবা জাহাঙ্গীর সরদার চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলেন, ‘ইমদাদুল আমার বড় সন্তান। ওর মৃ’ত্যু শোক এ জীবনে শেষ হবে না। খু’নি এতদিন গ্রেফতার না হওয়ায় আমরা বিচার নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম। আজ খু’নি গ্রেফতার হয়েছে, আশাকরি ওর ফাঁসিও আমি দেখে যেতে পারব।’
গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই শহর আলী বলেন, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর পলাতক আসামি জাহিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আশা করছি তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।