সৌদি আরবের জেদ্দা বন্দরের কাছে ইরানি একটি জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। তবে জাহাজের সব ক্রু নিরাপদে আছেন এবং জাহাজটির অবস্থা স্থিতিশীল। কারা এ হামলা চালিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) এ খবর জানিয়েছে ইরানি বার্তা সংস্থা নূর।
ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, সৌদি আরবের জেদ্দা বন্দরের কাছে ইরানের মালিকানাধীন জাহাজে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।’ ইরানের জাতীয় তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানির মালিকানাধীন জাহাজটি হামলার সময় সৌদি উপকূল থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ছিল।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের দুটি তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলা চালায় ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। এতে কয়েকদিন সৌদি আরবের ৫৭ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে আসছে সৌদি আরব। এরপর এ হামলার ঘটনা ঘটলো।
এর আগে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরানের নিরাপত্তা না থাকলে এ অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীসহ কোন দেশের নিরাপত্তা থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ।বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) কুয়েতের আল-রাই পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে জাভেদ জারিফ মার্কিন প্রশাসনকে তার দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
প্রকাশিত ওই নিবন্ধে তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের জন্য পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা রক্ষা করা অপরিহার্য একটি বিষয়। বহু শতাব্দী ধরে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আঞ্চলিক দেশগুলোই রক্ষা করেছে।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেকোনো অঞ্চলের নিরাপত্তা রক্ষার প্রধান দায়িত্ব থাকে সেই অঞ্চলের জনগণ কিংবা রাষ্ট্রের। বিদেশি রাষ্ট্রের নাক গলানো হলো অনধিকার চর্চা। তাই আমাদের নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে যেকোনো ধরনের বৈদেশিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।