জুমবাংলা ডেস্ক : রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সঙ্গে জড়িতের কেউ ছাড় পাবেন না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নামে এনআইডি তৈরিতে ইসির ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কেউ কেউ আগে থেকেই বিভিন্ন অপরাধের কারণে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। তবে, তদন্তের স্বার্থে তাদের নামধাম গোপন রাখা হচ্ছে।’ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের ভোটার করতে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তকে স্বাগত জানিয়ে এনআইডির ডিজি বলেন, ‘অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকারের যে সংস্থাই ব্যবস্থা নিতে চায়, আমরা তাদের স্বাগত জানাবো। প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবো।’
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ভোটার তথ্যে সার্ভারের প্রেজেনটেশন তুলে ধরে এনআইডি ডিজি বলেন, ‘আমাদের মূল সার্ভার সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে। অনেকেই না জেনে বলছেন, ইসির সার্ভারে রোহিঙ্গা ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু ইসির মূল সার্ভারে কারও প্রবেশের সুযোগ নেই। তারা চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে রোহিঙ্গারা টেম্পোরারি সার্ভারে ঢুকেছে। তাদের ৬১ জনকে আমরা চিহ্নিত করেছি।’ এনআইডির মূল সার্ভারে কোনও অপরাধী প্রবেশ করতে পারেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
জড়িত চক্রকে চিহ্নিত করার ঘটনা তুলে ধরে এনআইডির ডিজি বলেন, ‘আমরা ফাঁদ পেতে একটি চক্রকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। সামরিক বাহিনীতে আমরা যেটা অ্যামবুশ বলি। এতে আমাদের ডাবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের কর্মচারী জয়নালকে প্রথমে চিহ্নিত করা হয়। এরপর অন্যদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সংখ্যাটা ১৫ জনের বেশি হবে না।’ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দৃশ্যমান হবে বলেও তিনি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।