জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজানের বাসা থেকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ব্যাংক চেক, ১ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর) ও ২ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করেছে র্যাব। খবর ইউএনবি’র।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মিজানের বাসায় অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়।
ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে র্যাব-৯ এর একটি দল সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অভিযান চালিয়ে ডিএনসিসির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব মিজানের কাছ থেকে চার রাউন্ড গুলিসহ একটি অবৈধ অস্ত্র এবং বৃহস্পতিবার ব্যাংক থেকে ৬৮ লাখ টাকা উত্তোলনের প্রমাণ থাকা কাগজও উদ্ধার করেছে।
র্যাব সদরদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, মিজানকে শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকায় এনে বিকালে তার মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালানো হয়।
কাউন্সিলর মিজানের কাছ থেকে ব্যাংক চেক ও এফডিআরের নথি উদ্ধার করা গেলেও বৃহস্পতিবার ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা টাকা সম্পর্কে কোনো তথ্য তিনি র্যাবকে দেননি।
প্রাথমিক তদন্তে র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, হাবিবুর রহমান মিজান পালিয়ে দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন। এজন্য বৃহস্পতিবার তিনি ব্যাংক থেকে ৬৮ লাখ টাকা তুলে লাপাত্তা হন। তবে র্যাবের বিশেষ একটি দল তার পিছু নেয়। জনপ্রতিনিধিত্বের বাইরে সুনির্দিষ্ট কোনো পেশা না থাকলেও মিজান এতো টাকা কোথায় পেলেন- সে বিষয়ে অনুসন্ধান করছে র্যাব। কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন, দেশের বাইরেও বিভিন্ন রাষ্ট্রে তার অন্তত ১৫টি বাড়ি রয়েছে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজান মোহাম্মদপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা। এর আগে তিনি ওই থানায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। স্থানীয় লোকজন তাকে ‘পাগলা মিজান’ নামেই চেনে। শুক্রবার তাকে গ্রেফতারের পর অভিযানের মধ্যেই মোহাম্মদপুর এলাকায় কয়েকশ লোক তার বিরুদ্ধে মিছিল করে স্লোগান দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।