নিজস্ব প্রতিবেদক : গত পাঁচ অর্থবছর থেকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও ৭৯ ব্যক্তি পাওনা পরিশোধ করছে না। এই ৭৯ ব্যক্তির কাছেই পাওনা দাড়িয়েছে ৩ হাজার ৭২২ কোটি টাকা! জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনবিআরের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৭৯ ব্যক্তির প্রত্যেকেই ব্যবসায়ী। তাঁদের নিজেদের নামে দেশে-বিদেশে একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে। তাঁদের পরিবারের একাধিক সদস্যও দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ব্যবসা করছেন। গত পাঁচ বছরে ৭৯ জনকেই বকেয়া পরিশোধে তাগাদা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭ জনকে ২০ বার করে, ১০ জনকে ১৬ বার, অন্যদের ১৪ বারের কম চিঠি দেওয়া হয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ৭৯ জনই পাওনা রাজস্বের অতি সামান্য কিছু অর্থ এনবিআরের কোষাগারে জমা দিয়ে আবারও সময় নিয়েছেন। এভাবে বারবার সময় নিয়েও গত পাঁচ বছরে তাঁরা পাওনার ২০ শতাংশও পরিশোধ করেননি। ৭৯ জনের মধ্যে ১৭ জনের হিসাব সাময়িক জব্দ করা হয়। পাওনার অতি সামান্য দিয়ে হিসাবগুলো আবারও সচল করা হয়। এই ব্যক্তিরা নিয়মিত রিটার্ন জমা দিয়েছেন। বেশির ভাগই রিটার্নে ব্যবসায় লোকসান দেখিয়েছেন। সামান্য লাভ দেখিয়েছেন অল্প কয়েকজন।
৭৯ জনের মধ্যে চারজন সিগারেট খাতের ব্যবসায়ী, ৯ জন তৈরি পোশাক ও এর সহযোগী খাতের, তিনজন হোটেল, দুজন সিরামিক খাতের, একজন জুয়েলারি খাতের, একজন অটোমোবাইল খাতের, দুজন খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারক ব্যবসায়ে, সাতজন ঠিকাদার, ছয়জন পরিবহন, আটজন মানবসম্পদ রপ্তানি, ১৩ জন রাসায়নিক আমদানি এবং অন্যরা বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করেন। প্রত্যেকের এসব ব্যবসার বাইরে আরো ব্যবসা আছে। তাঁরা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বছরে একাধিকবার বিদেশে আসা-যাওয়া করেন। তাঁদের প্রত্যেককে এনবিআরে একাধিকবার তলব করা হয়। এতে ৩৬ জন আইনজীবী সঙ্গে করে হাজির হয়েছিলেন। অন্যরা নিজে না এসে প্রতিনিধি হিসেবে আইনজীবী পাঠান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।