জুমবাংলা ডেস্ক : দুই ভাইয়ের লড়াই জমে উঠেছে রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচন। নির্বাচনে জাতীয় এরশাদ পরিবারের দুই সদস্য প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। দলীয় প্রার্থী হয়েছেন এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদ, আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন এরশাদের ভাতিজা আসিফ শাহারিয়ার। স্থানীয় ও বহিরাগত উপাধি নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দুই ভাই।
আসনটি দীর্ঘ ২৫ বছর দখলে ছিল এরশাদের। এটি ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে জাতীয় পার্টি। সে কারণেই প্রার্থিতা দেয়া হয়েছে এরশাদপুত্র শাদকে। কিন্তু এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন এরশাদের মরহুম ছোট ভাই মোজাম্মেল হক লালুর ছেলে আসিফ শাহারিয়ায়। তিনি ভোটারদের কাছে বলছেন, সাদ বহিরাগত। তিনি কোন দিনও রংপুরে আসেননি। এমনকি এরশাদও কখনোই তাকে সঙ্গে নিয়ে রংপুরে আসেননি। তিনি জাতীয় পার্টির কেউ নন। ভোট শেষে আবারও বিদেশে চলে যাবেন। পক্ষান্তরে তিনি স্বপরিবারেই রংপুরে থাকেন। যখন-তখন তাকে কাছে পাওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে আসিফ সাংবাদিকদের জানান, সাদ রংপুরের মানুষ নয়। তিনি ইতিপূর্বে রংপুরে আসেননি। জনগণ তাকে চেনে না। ভোটারসহ সাধারণ মানুষের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। সে যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেটা জনগণ বিশ্বাস করতে চায় না। শাদকে বহিরাগত আখ্যায়িত করে তিনি জানান, জনগণ তাকে আগে কখনও দেখেনি। তাকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বলেও মনে করে না ভোটাররা। তাই বিপুল ভোটে তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদী।
অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাদ এরশাদ জানান, আসিফ তার ভাই। তিনি নির্বাচন করতেই পারেন। এ বিষয়ে তার বলার কিছু নেই। শুধু বড় ভাই আসিফ নয় সব প্রার্থীকেই তিনি প্রতিদ্ব›দ্বী মনে করেন। এ ব্যাপারে আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে, রংপুর মহানগর জাপা সভাপতি সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসিরসহ মহানগর জাপার অধিকাংশ নেতাকর্মী এখন পর্যন্ত সাদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না। সিটি মেয়র মোস্তফা অনেক আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, সাদকে মনোনয়ন দিলে তিনি তার পক্ষে কাজ করবেন না। ফলে এখন পর্যন্ত তিনি এবং মহানগর জাতীয় পার্টির নেতাদের সাদের সঙ্গে নির্বাচনী মাঠে দেখা যায়নি।
তবে জয়ের শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমাদের প্রার্থী সাদ এরশাদ। আওয়ামী লীগ তাকে সমর্থন দিয়েছে। আমরা রংপুরবাসী বার বার লাঙল ও এরশাদকে ভোট দিয়েছি। এবারও তার পুত্র সাদকে আমরা বিপুল ভোটে জয়ী করব। আমরা প্রমাণ করব রংপুর মানেই এরশাদ ও লাঙল।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদে সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর এই আসনে দলের প্রার্থী দেয়ায় তৃণমুলের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টিকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। নির্বাচনী মাঠে তারা থাকবেন না বলেও জানিয়েছেন।
ওদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে দলীয় প্রার্থীকে সরিয়ে রিটা রহমানকে মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। তবে ওই নির্বাচনে রিটা রহমানের পক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে নামেনি। অংশ নেয়নি প্রচার-প্রচারণায়। এবারও তাই ঘটেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।