জুমবাংলা ডেস্ক: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সৃষ্ট অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে। তীব্র স্রোতের কারণে গত আট দিন ধরে ফেরি চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। খবর ইউএনবি’র।
এ কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বিভিন্ন ধরনের শত শত যানবাহন অপেক্ষমাণ রয়েছে। স্রোত না কমা পর্যন্ত অবস্থার উন্নতি হওয়ার লক্ষণ দেখছেন না কর্তৃপক্ষ। তাই বিকল্প পথে যানবাহনগুলো চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘাটে অপেক্ষমাণ যানবাহনের অধিকাংশই পণ্যবাহী ট্রাক। পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় চার শতাধিক এবং ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ধামরাই উপজেলার বাথুলী ও শিবালয় উপজেলার উথলী এলাকায় আটকা রয়েছে আরও তিন শতাধিক পণ্যবোঝাই ট্রাক। রাজবাড়ির দৌলতদিয়া ঘাটে তিন শতাধিক পণ্যবোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য গাড়ি আটকা পড়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ জানায়, তীব্র স্রোতের কারণে ১৬টি ফেরির বেশির ভাগই চলতে পারছে না। ৫-৮টি ফেরি চালানো যাচ্ছে। বাকি ফেরিগুলো নোঙর করে রাখা হয়েছে। চলমান ফেরিগুলো দিয়ে জরুরি যানবাহনসহ ব্যক্তিগত গাড়ি ও জরুরি পণ্যবাহী কিছু ট্রাক পার করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ লঞ্চযাত্রী ফেরিতে পার হচ্ছে।
বিআডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জিল্লুর রহমান জানান, নদীতে স্রোত ও দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় তিনটি পন্টুন ভেঙে যাওয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে মাত্র দুইটি ঘাট দিয়ে যানবাহন ওঠা-নামা করানো হচ্ছে। বাকি তিনটি ঘাটই অকেজ হয়ে রয়েছে। ঘাটগুলো সচলেরও চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নদীতে স্রোত না কমলে এই বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়। এ অবস্থায় এই নৌরুটের যানবাহনগুলোকে ভিন্ন পথ ব্যবহারের পরামর্শও দেন তিনি।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, পাটুরিয়া ফেরিঘাটে আটকে পড়া যানবাহনের শৃঙ্খলা রক্ষাসহ যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।
ফেরি চলাচল স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহনগুলোকে পাটুরিয়াঘাট বাদ দিয়ে বিকল্প পথে চলাচলের জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।