মোহাম্মদ আল আমিন : বিশ্বকাপের পর নিজ দেশের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলার আয়োজন করেছিলো বাংলাদেশ। সেই টেস্ট ম্যাচটিও রীতিমতো বাংলাদেশ হেরেছিলো ২২৪ রানের এক বিশাল ব্যবধানে।
অতঃপর সেই ম্যাচটি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। শুধু সন্দেহই নয়। ১১ দফা দাবি দেওয়া ক্রিকেটারদের হুমকিই দিয়ে ফেললেন বিসিবি বস পাপন।
মঙ্গলবার বিসিবি’র সংবাদ সম্মেলনে পাপন বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের হার প্রত্যাশা ছিল না। ক্রিকেটে ফিক্সিং হয়েও থাকতে পারে। শিগগির ম্যাচ পাতানোর গোমড় ফাঁস করা হবে। আমি তো আগে জানতাম না যে আফগানিস্তানের কাছে হারবে। আমি তো জানতাম না…। আগে জানলে এই সিরিজ আয়োজন করতাম না।’
এদিকে আজকের ওই সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে সরগরম আড্ডা চলছে ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে। ক্রিকেট প্রেমিকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের অন্যান্য সেক্টরের মতো ক্রিকেটেও দুর্নীতি শুরু হয়েছে। নাহলে যে অপরাধ ১ থেকে দেড় মাস আগে করা হয়েছে তা নিয়ে এতদিন পরে কেন মুখ খুলছেন পাপন?
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে ক্রিকেট ভক্ত মোহাম্মদ ইউনুছ আলী জুমবাংলাকে বলেন, ‘ক্রিকেটাররা যখন নানাবিধ দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছেন, তখন একজন প্রশাসক ও নীতিনির্ধারক হয়ে পাপনের ভূমিকাটা ঠিক প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যাচ্ছে। তার বক্তব্যে নানা ধরণের নাটকীয়তা দেখা দিয়েছে। নাহলে পাপনের মুখে এতোদিন পর কেন ম্যাচ পাতানোর গল্প উঠে আসবে?’
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরে পড়ুয়া এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডকে নাড়া দেওয়ার সময় এসেছে। বর্তমান এ সংকটটি প্রমাণ করে যে, খেলোয়াড়দের সাথে প্রশাসকদের বেশ দূরত্ব রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই টেস্ট ম্যাচটিতে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছিলে, খেলার মাঠে পিচটা যেনো স্পিন বান্ধব হয়। তবে দুর্ভাগ্যবশত টস হারায় পরে ব্যাট করতে টাইগার বাহিনীকে। আর তাই স্পিন পিচের ফাঁদে উলটো বাংলাদেশ দল পড়ে ম্যাচটি হারে ২২৪ রানের এক বিশাল ব্যবধানে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।