আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলে মন্দিরসহ প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো এক বিশাল শহরের সন্ধান মিলেছে। শহরটির আয়তন সাড়ে ৬ লাখ বর্গমিটার বলে দেশটির পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরেয়েলের নতুন শহর হারিশের নিকটবর্তী শ্যারন অঞ্চলে রাস্তা নির্মাণের কাজ চালানোর সময় প্রচীন শহরটির সন্ধান মেলে।
ইসরায়েলের পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. ইতজহাক প্যাজ জানান, ইসরায়েলের ভূমির মধ্যে যে কোনো প্রাচীন শহরের চেয়ে এটির সীমানা বড়। এমনকি ইসরায়েলের বাইরে জর্ডান, লেবানন ও দক্ষিণ সিরিয়া অঞ্চলের মধ্যেও সন্ধান মেলা নতুন শহরটি সবচেয়ে বড় পুরাকীর্তিস্থল।
দেশটির প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানান, ব্রোঞ্জ যুগের গোড়ার দিকে খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দের শেষ পর্যায়ে গড়ে ওঠে পরিকল্পিত এই শহরটি। এটির চারপাশ দুর্গ ও প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ছিল। শহরে ছিল ছিল আবাসিক এলাকা, সাধারণ এলাকা, সড়ক ও গলি।
সন্ধান মেলা প্রাচীন এ শহরে ৬ হাজারের মতো বাসিন্দা ছিল। তারা কৃষিকাজ এবং সেখানের বিভিন্ন অঞ্চল ও রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতো। এ ছাড়া শহরে একটি মন্দিরও পাওয়া গেছে। এর চত্ত্বরে মিলেছে বিশাল পাথরের একটি পাত্র। সেটিতে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পানীয় রাখা হত বলে ধারণা করছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা আরও জানান, মন্দিরের ভেতরে প্রাণীর পোড়া হাড়ের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ থেকে সেখানে বলি দেওয়া হতো বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দুর্লভ কিছু মূর্তিও পাওয়া গেছে।
খননকাজের সময় সেখানে ক্যালকোলিথিক যুগে তৈরি হওয়া সাত হাজার বছরের পুরনো একটি আবাসস্থলের সন্ধান মিলেছে। খননে মাটির পাত্রের লাখো টুকরো, পাথরের সরঞ্জাম ও আগ্নেয় শিলা উদ্ধার করা হয়েছে।
গত আড়াই বছর ধরে ইসরাইলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়নে শহরটিতে খননকাজ চালানো হয়। এ কাজে অংশ নেয় ৫ হাজার জনের বিভিন্ন স্কুল শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকদের দল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।