ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চলল গুলি। বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর চালানো গুলিতে প্রাণ গিয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র এক কনস্টেবলের।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে জলসীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে গিয়েছিলেন তিনজন ভারতীয় মৎস্যজীবী। তাঁদের উদ্ধার করতে গিয়েছিল বিএসএফ। বিএসএফের দাবি, বৃহস্পতিবার দুই মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে ফেরার পথে আচমকাই বিজিবি গুলি চালায়। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বিএসএফ-এর হেড কনস্টেবল বিজয়ভান সিংহের। তাঁর মাথায় গুলি লাগে। অন্য এক কনস্টেবল বিজিবি-র ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছেন। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
এ দিন সকালে জলঙ্গির তিন মৎস্যজীবী পদ্মায় মাছ ধরার সময় আন্তর্জাতিক জলসীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যান। তখনই তিন জনকে বিজিবি আটক করে। বিষয়টি বিএসএফ-কে জানানো হয়। দু’পক্ষের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পর তিন জন মৎসজীবীর মধ্যে দু’জনকে ছেড়ে দেয় বিজিবি। কিন্তু, একজনকে তারা ছাড়তে নারাজ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে দু’জনকে নিয়ে কাটমারি চর বর্ডার পোস্টের দিকে ফিরছিল বিএসএফের পাঁচ জনের একটি দল। আচমকা পিছন দিক থেকে গুলি ছুটে আসে। সে সময় বিজয়ভানের মাথায় গুলি লাগে।
ঘটনার পর দু’তরফে ডিজি পদমর্যাদার অফিসারদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। বিজিবি-র তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস মিলেছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
বিজিবি-র অভিযোগ, বিএসএফের তরফে প্রথম গুলি চালানো হয়। বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জন সংযোগ কর্মকর্তা মহম্মদ শরিফুল ইসলাম একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। তাতে লেখা হয়েছে, ‘বিএসএফ সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে, জোরপূর্বক ধৃত জেলেকে নিয়ে ঘটনাস্থল হতে চলে যেতে চাইলে বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা প্রদান করে। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে ফায়ার করে এবং ফায়ার করতে করতে স্পিডবোট চালিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যেতে থাকে। তখন বিজিবি টহল দল আত্মরক্ষার্থে ফায়ার করে।এ বিষয়ে অধিনায়ক রাজশাহী ব্যাটালিয়ন এবং কমান্ড্যান্ট ১১৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পতাকা বৈঠকে জানা যায় যে, উক্ত ঘটনায় বিএসএফ এর ১ জন সদস্য নিহত এবং ১ জন সদস্য আহত হয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।