স্পোর্টস ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে বরিশাল বিভাগকে ৩৩৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এবার ব্যাটের ঝলক দেখাতে সক্ষম হলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তার ব্যাটে ভর করে জাতীয় লিগে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে ড্র করতে সক্ষম হলো বরিশাল বিভাগ। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৮ বলে আশরাফুল ৬০ রানের ইনিংসটি না খেললে, হেরেও যেতে পারতো বরিশাল।
মোহাম্মদ আশরাফুল নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরার পর অনেকেই আশা করেছিলেন, জাতীয় দলে হয়তো একবারের জন্য হলেও ফিরতে পারবেন। কিন্তু সেই ফেরাটা সম্ভবত হচ্ছে না আর। কারণ, তার অফ ফর্ম, ফিটনেস এবং বয়স। কোনোটিই তার পক্ষে কথা বলছে না।
জাতীয় লিগের গত দুই আসরে আশরাফুল খেলেছিলেন ঢাকা মেট্রোর হয়ে। এবার ফিটনেস টেস্টেই উত্তীর্ণ হতে পারছিলেন না। তবে শেষ পর্যন্ত জাতীয় লিগে দল পেলেন এবং সেটা বরিশাল বিভাগ। প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ব্যাট হাতে যারপরনাই হতাশ করেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। এক ইনিংসে ব্যাট করে তুলতে পেরেছিলেন কেবল ৬ রান।
তবে, দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে এসে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে অবশেষে রানের দেখা মিললো আশরাফুলের ব্যাটে। যদিও প্রথম ইনিংসে হতাশ করেছিলেন তিনি। ৪২ বল খেলে ২১ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে এসে আশরাফুলকে স্বরূপে দেখা গেলো। দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ৩৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল যখন স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই ওপেনার রাফসান আল মাহমুদের উইকেট হারিয়ে ফেলে, তখনই মাঠে নামেন আশরাফুল।
তিন নম্বরে উইকেটে এসে জুটি বাধেন পুরনো সতীর্থ শাহরিয়ার নাফীসের সঙ্গে এবং দু’জন মিলে গড়ে তোলেন ১১৩ রানের দুর্দান্ত একটি জুটি। ১০৮ বল খেলে ৬০ রান করে এ সময় আউট হয়ে যান আশরাফুলই। ১৬৮ মিনিটের এই ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ৬টি বাউন্ডারির মার।
আশরাফুল আউট হতে না হতেই অবশ্য বরিশাল বিভাগের ব্যাটিংয়ে যেন মড়ক লাগে। তার বিদায়ের পরপরই সাজঘরের পথ ধরেন বরিশালের ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস। তিনি করেন ৪২ রান। এরপর একে একে নুরুজ্জামান, ফজলে মাহমুদ, সোহাগ গাজীরা আউট হয়ে যান
১৭৪ রানের মাথায় মোসাদ্দেক হোসেন আউট হয়ে গেলে ৭ম উইকেটের পতন ঘটে বরিশালের। তবে, তাতেও অবশ্য চট্টগ্রাম বিভাগের লাভ হয়নি। কারণ, দ্বিতীয় স্তরের এই ম্যাচটা ড্র’তেই পর্যবসিত হলো। পয়েন্ট ভাগ করে নিলো দুই দল।
প্রথমে ব্যাট করে চট্টগ্রাম বিভাগ প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৩৫৬ রান। জবাব দিতে নেমে বরিশাল বিভাগের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১৬ রান। চট্টগ্রাম বিভাগ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৯৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। ফলে বরিশালের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৬ রান।
চট্টগ্রামের সামনে যদিও জয়ের দারুণ সুযোগ ছিল। কারণ, নাঈম হাসানের (৪ উইকেট) একের পর এক ঘূর্ণি বোলিংয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বরিশাল। এর মধ্যে দৃঢ়তা দেখিয়ে ম্যাচ ড্র করতে দারুণ ভূমিকা রাখেন আশরাফুল। ৬০ রানের ইনিংসটি তিনি না খেললে, বরিশালের পরাজয় ছিল নিশ্চিত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।