লাইফস্টাইল ডেস্ক : ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস, এক-একজনের সমস্যা এক-একরকম। কিন্তু কোনও অনুষ্ঠানে বেরতে যাওযার সময় আপনার গোটা সাজটাই মাটি করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট এই দু’প্রকার ত্বকের সমস্যা। বাজারচলতি স্ক্র্যাবারে সমস্যা মেটে ঠিকই। কিন্তু সবসময় কেমিক্যাল ব্যবহার করবেন না। আর নিয়মিত স্ক্র্যাব না করলে ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস বেরনোর সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকটাই। তাই সবচেয়ে ভাল, বাড়িতে স্ক্র্যাবার তৈরি করে মুখে ব্যবহার করা।
কেন হয় ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস?
নাকের গোড়ায় অনেকেরই ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডসের সমস্যা থাকে। নানা কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। নাকের রোমকূপের মুখে তেল, ময়লা জমে ব্ল্যাকহেডস তৈরি হয়। আবার সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে অতিরিক্ত তেল বের হলেও ব্ল্যাকহেডস হয়। তাই নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখাটাও খুব জরুরি। ব্রণ হলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে, তার থেকেও হতে পারে। মৃতকোষ রোমকূপে রয়ে গেলে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস হয়। পিরিয়ডের সময় অনেকের হরমোনাল পরিবর্তন হয়। তার জেরেও ব্ল্যাকহেডস হতে পারে। নিয়মিত জন্মনিরোধক বড়ি খেলে তেল নিঃসরণ বেড়ে যায়। তা থেকেও ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস হতে পারে। কোনও বিশেষ গ্রুপের ওষুধও এই সমস্যার অন্যতম একটা কারণ।
কীভাবে দূর করবেন?
এই ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর করার সবচেয়ে ভাল ঘরোয়া উপায় হল ডিমের সাদা অংশ মুখে লাগানো। ডিমের সাজা অংশে যে প্রোটিন থাকে, তা ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে। বাড়িতে ব্ল্যাকহেডস তুলতে দু’টো ডিমের সাদা অংশ, লেবুর রস ২ চা-চামচ নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে নাকের চারপাশে ভাল করে লাগান। তার উপরে একটা টিস্যু পেপার লাগিয়ে দিন। এবার টিস্যুর ওপর থেকে আর একবার ডিম আর লেবুর ওই মিশ্রণ লাগান। তার উপরে আর একটা টিস্যু দিন। শুকিয়ে গেলে টিস্যু ধরে টেনে তুলে ফেলুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।