জুমবাংলা ডেস্ক : বুয়েটের শিক্ষার্থী মুহতাসিম ফুয়াদ ছিলেন বুয়েট ছাত্রলীগ শাখার সহ-সভাপতি। আবরার ফাহাদ হ*ত্যা মামলায় দুই নম্বর আসামি।
পুলিশের কাছে গ্রেফতার হবার পর আজ হাজির করা হয় ঢাকা সিএমএম আদালতে।
রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠায়। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা আবু তাহের।
ফুয়াদের বাবা আবু তাহের জানান, তারা জামিন পাবে না বলে ফুয়াদের জন্য জামিন আবেদন করেননি তারা। তবে দাবি করেন তার ছেলে এই হ*ত্যাকা*ণ্ডের সাথে জড়িত নয়। কারণ ঘটনার দিন রাত ১০টা পর্যন্ত সে হলের বাইরে ছিলো। আর যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় তার ছেলে জড়িত তাহলে ফুয়াদের বিচার দাবি করেছেন তিনি।
আবু তাহের বলেন, ফুয়াদ ছাত্রলীগের যে পদে ছিলেন তা আলংকারিক পদ, নামকা ওয়াস্তে পদে ছিলো সে।
ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস জেরে আবরার ফাহাদকে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আবরারের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তার বাবা বরকত উল্লাহ একজন এনজিও কর্মী, মা রোকেয়া বেগম কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার বড়। তার ছোট ভাই ঢাকা কলেজের ছাত্র।
ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ তিনি বলেন, নিহত আবরারে ফাহাদের হাত, পা ও পিঠে আ*ঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আবরারকে বাঁশ বা স্ট্যাম্প জাতীয় জিনিস দিয়ে আ*ঘাত করা হয়েছে। প্রচুর র*ক্ত ক্ষরণ হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার মামলা করেছেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এরই মধ্যে ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভিডিও : চ্যানলে ২৪
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।