আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের মদদপুষ্ট সংগঠনগুলো জম্মু-কাশ্মীর তথা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে জঙ্গি হামলা চালানোর ছক কষছে। মঙ্গলবার এই আশঙ্কা প্রকাশ করে ভারতকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই বিষয়ে তাদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেও জানিয়েছে ওয়াশিংটন। পাকিস্তান যদি তাদের দেশে থাকা জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তাহলে যেকোনও মুহূর্তে তারা ভারতে নাশকতা করতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভাগের সহকারী সচিব ব়্যান্ডাল শ্রিভার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ব়্যান্ডাল শ্রিভার বলেছেন, অনেকেই আশঙ্কা করছে যে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে পাকিস্তানের জঙ্গিরা যেকোনও মুহূর্তে ভারতে হামলা চালাবে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর থেকেই এই চেষ্টা চলছে। তবে আমার এটা মাথায় ঢুকছে না যে চীনও কেন এই ধরনের সংঘাত চাইছে বা একে সমর্থন করছে।
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা বাতিল করার পরই পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। শুধুমাত্র কূটনৈতিক আর রাজনৈতিক কারণেই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে দাবি করেন শ্রিভার।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় চীনও চাইবে না কাশ্মীর নিয়ে সংঘাত শুরু হোক। কিন্তু, তারপরও কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণেই পাকিস্তানকে সমর্থন করছে তারা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। জাতিসংঘে এই বিষয়ে আলোচনা করার পক্ষে সওয়াল করেছে। তবে কূটনৈতিক সমর্থন করা ছাড়া আর কোনোভাবেই পাকিস্তানকে তারা সাহায্য করবে না বলেই আমার মনে হয়।
শ্রিভার বলেন, চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। অন্যদিক বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা চলছে ভারতের। ফলে স্ট্র্যাটেজিগত দিক থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের এই লড়াই মদদ দিচ্ছে তারা। যদিও ভারতের তরফে সবসময়ই চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা হয়েছে। এখনও সেই নীতিতে কোনও বদল আনেনি তারা।
বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ব়্যান্ডাল শ্রিভার।
তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। এতে ভারত যে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় তা আমাদের স্পষ্ট জানিয়েছেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে, ভারতীয় গোয়েন্দারা খবর পেয়েছেন, ভারতের বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে জইশ-ই-মোহাম্মদ। তাই চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে। অমৃতসর, পাঠানকোট ও শ্রীনগরের বিমানবাহিনী শিবির ঘিরে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার চাদরে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে হামলা চালানোর চেষ্টা করছে ৮ থেকে ১০ জন জইশ জঙ্গি। বালাকোটে জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করার বদলা নিতেই এই ছক কষছে তারা।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।