আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাজ নেই। তাই সংসার আর চলছিল না। স্ত্রী ও সন্তানদের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দিতে পারছিলেন না। এর জেরে গত একমাসে অন্ধ্রের তেনালি, গুন্টুর ও মঙ্গলগিরি এলাকার তিন বাসিন্দা আত্মহত্যা করেন। সম্প্রতি তাদের মধ্যে ভেঙ্কটেশ নামে এক শ্রমিকের আত্মহত্যার ঠিক আগের মুহূর্তে তোলা ভিডিও সামনে এসেছে। তারপরই রাজ্যজুড়ে শোরগোল তৈরি হয়েছে।
ভারতীয় এক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, কর্মহীন হয়ে পড়ায় কিছুদিন ধরেই মানসিক চিন্তায় ভুগছিলেন ভেঙ্কটেশ। তার জেরেই আত্মহত্যা করেন গুন্টুরের গোরান্টলা এলাকার ওই বাসিন্দা।
তিন সপ্তাহ আগে ভিডিওটি তোলা হয়েছিল। কিন্তু, সম্প্রতি সেটি টুইট করে বর্তমান রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। রাজ্যের এই ভয়ানক অবস্থার জন্য ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডিকে দায়ী করেছেন তিনি।
তার অভিযোগ, নদীর বালি উত্তোলনের বিষয়ে রাজ্যের আইন পরিবর্তনের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বহু নির্মাণ শ্রমিক। গত পাঁচমাস ধরে কাজ নেই তাদের। এর জেরেই আত্মহত্যা করেছন ওই তিনজন। একই কথা বলছেন মৃতদের পরিবারের সদস্যরাও।
মৃত্যুর আগে তোলা ওই ভিডিওতে ভেঙ্কটেশকে তেলুগু ভাষায় বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘কাজ নেই। বাড়িতে অভাব। তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।’ বিষয়টি যা সত্যি তা মেনে নিচ্ছেন তার স্ত্রীও।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেই সংসার চালাতেন। অন্য কোনও কাজ জানতেন না। বালি তোলার কাজ বন্ধ হতেই তাই উনি কর্মহীন হয়ে পড়েন। এর ফলে সংসার খরচের পাশাপাশি এক বছরের ছেলের চিকিৎসা চালানো মুশকিল হয়ে পড়ছিল। বিষয়টি নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলেন উনি। তারপর আচমকা আত্মঘাতী হলেন। এখন আমাদের কী হবে তা নিয়েই চিন্তা করছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।