যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে নিম্নগতি দেখা দিয়েছে। এতে চীনের প্রবৃদ্ধি ১৪ থেকে নেমে হয়েছে ৭ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধিও নিম্নমুখী। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, আগামী বছরে যা ৮% ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এটাকে কোনো কল্প কাহিনীর মতো মনে হলেও এটাই বাস্তবতা। এতে সবচেয়ে বড় অবদান বাংলাদেশের মানুষের। আইএমএফ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেছে। চলমান বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভার সব খানেই বাংলাদেশের অগ্রগতিকে বিস্ময় বলা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভার অংশ হিসেবে আইএমফের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, ভুটানের নির্বাহী পরিচালক অপর্ণা সুভ্রামনির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে বেশ কয়েকটি সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন মন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দুটি রাষ্ট্র সাউথ সুদান ও ইথিওপিয়া ছাড়া বাংলাদেশের সামনে কেউ নেই। বিশ্বে নানা মন্দার মধ্যেও প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। আইএমএফ বলছে পঞ্জিকা বছর শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। যদিও বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। এরপরও ৭ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দক্ষিণ সুদান ও ইথিওপিয়া ছাড়া আর কোনো রাষ্ট্রের নেই। ফলে অনেকে বিশ্বব্যাংকের ঋণ খরচও করতে পারেনি। এক্ষেত্রে সক্ষমতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
সব বৈঠকেই বাংলাদেশের ভূয়সী প্রসংশা করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে বিশ্ব মন্দার সময়েও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোনো রকম প্রভাব পড়েনি। কেননা, আমাদের উৎপাদন আর চাহিদা আমরা নিজেরাই তৈরি করি। ফলে আমাদের আর্থিক খাতে এ মুহূর্তে কোনো রকম ঝুঁকি নেই।
‘বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেছে। আমাদের অগ্রগতি দেখে তারা অভিভূত। অন্য দেশগুলোর কাছে আমাদেরকে তারা ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করছে। আইএমএফ তাদের আউটলুকে বলেছে, এ বছরের শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। এটা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।