জুমবাংলা ডেস্ক : আঘাতেই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ।
সোমবার (৭ আক্টোবর) দুপুর ২টায় ঢামেকের সামনে সাংবাদিকেদের তিনি এ কথা জানান।
ফরেনসিক বিভাগের প্রধান বলেন, ‘আবরারের পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্তক্ষরণ হয়েছে। আঘাতের ব্যথার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সকালে কয়েকজন সহপাঠী অচেতন অবস্থায় আবরারকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন জানান, সোমবার ভোরে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছেন তারা। মধ্য রাতের দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবরারের পায়ে এবং হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে আবরার ফাহাদ মুজাহিদকে সিঁড়ি থেকে ফেলে দিয়ে হ*ত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন অন্য শিক্ষার্থীরা।
আবরার কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের বাসিন্দা মো. বরকত উল্লাহর ছেলে। বরকত উল্লাহ ব্র্যাকের নিরীক্ষক কর্মকর্তা আর আবরারের মা রোকেয়া খাতুন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।