বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার এস এম মাহমুদ সেতু বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) প্রতিদিনই সাধারণ ছাত্রদের ধরে নিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হতো। আবরার যে মারা যাবে, সেটা বুঝে উঠতে পারিনি। আমার অন্যায় হয়েছে যে, আমি কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) রিমান্ড শুনানির আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মাহমুদ সেতু বলেন, আমি আমার ঘরে অবস্থান করি। ঘরের বাইরে আসলে একজনের চিৎকার শুনতে পাই। হলের মধ্যে এমন ঘটনা অনেকবার ঘটেছে। এরকম ঘটনা আমি অনেকবার দেখেছি। আমি আবরারকে মারতে দেখেছি।
মিজান আবরারকে মারতে শুরু করলে আমি রুম থেকে বের হয়ে চলে আসি। ক্যান্টিনে খাই। এরপর রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়ি। আমি কিছু করিনি। আর আমার দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
আবরারকে কে কে মেরেছে, জানতে চাইলে সেতু বলেন, আরবারকে রনি, সকাল, মিজান, রবিন, জেমিসহ সাত-আটজন মেরেছে। আমি কখনো কারও গায়ে হাত দেইনি। আমি শুধু দেখেছি, কিন্তু কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি। আমার অন্যায় হয়েছে যে, আমি কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি।
তিনি বলেন, আমি ছাত্র অবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা ছিলাম। এখন একটা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করায় আর আগের মতো দলে সক্রিয় নই। আর চাকরি করলে ওরা দলে থাকতে দিবে না বলে জানায়।
শুনানি শেষে এস এম মাহমুদ সেতুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম।
উল্লেখ্য, রোববার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এস এম মাহমুদ সেতুকে রাজধানীর বাংলা মোটর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।