আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রহিম একজন যৌ’নকর্মী, যিনি পুরুষ ও নারী উভয়ের সঙ্গে যৌ’নসঙ্গম করে থাকেন। তবে নিজের এই পেশাটিকে সবার কাছে গোপন রাখেন তিনি। রহিমের বেশির ভাগ খদ্দেরই ইউরোপীয়। মাত্র দেড় হাজার ইউরোর বিনিময়ে খদ্দেরদের হাতের পুতুল হয়ে থাকতে হয় রহিমকে। কিন্তু তারপরও পরিবারের জন্য দু’মুঠো অন্ন জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়। তিনি গাম্বিয়ার বাসিন্দা।
গাম্বিয়ার জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ আসে যৌ’ন পর্যটন থেকে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ মানুষের আয়ের উৎস এই খাত। এরপরও অবশ্য এখানকার মানুষ এমন ভান করেন যে, তারা কিছুই জানেন না। দেবোরা ইভেস গাম্বিয়ার সেরেকুন্ডায় একটি জনপ্রিয় বার চালান, তাই সেখানে যা যা হয়, সবই তার জানা। ‘দ্য ব্রিটানিয়া’র মালিক দেবোরা ইভেস বলেন, যৌ’ন পর্যটন কোনোদিনই বন্ধ হবে না। অনেকের জন্য এ পেশা সহজে অর্থ রোজগারের একটা পথ। কেউ নতুন পোশাক বা গয়নার জন্য এটা করে। কেউ কেউ আবার এ পথ বেছে নিতে বাধ্য হন, পরিবারের দিকে তাকিয়ে।
গাম্বিয়ার অধিকাংশ মানুষই আসলে গরিব। সে দেশের বেকারত্বের হার প্রায় ৪৫ শতাংশ। তাই রাজনীতিবিদরাও যৌ’ন পর্যটন থেকে ফায়দা তোলেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হেনরি গোমেজ বলেন, গাম্বিয়া বন্ধুবৎসল দেশ। লোকে গাম্বিয়াকে ’আফ্রিকার হাস্যোজ্জ্বল উপকূল’ বলে থাকেন। তাই কোনো নারী বা পুরুষ যদি পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে, তবে তাকে আমি তো সেটা করতে মানা করতে পারি না!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।