জুমবাংলা ডেস্ক : কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত দলটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্রহীনতা ও অবরুদ্ধ বাকস্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা সভা ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।
বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
খালেদা জিয়া কারাগারে মানে গোটা বাংলাদেশে কারাগারে মন্তব্য করে আলাল বলেন, আমার সন্তান আমাকে জিজ্ঞাসা করে আব্বু তুমি আগে গুলশান যেতে ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলতে, বাসায় এসে আলাপ করতে এখন তো কথা বলতে পারো না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখে দেশের গণতন্ত্রকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে সরকার। তিনি কারাগারে মানে দেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইল কারাগারে পরিণত হয়েছে।
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বড় ধরনের লড়াই ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প পথ নেই বলেও মন্তব্য করেন আলাল।
আলাল বলেন, সামাজিক গণমাধ্যমে ভারতের একটা ছবি দেখলাম একজন গাড়িচালককে একদল বানর তাড়া করছে। সেই গাড়িটি বানরের দল দখল করে আছে কিন্তু বানর তো গাড়ি চালাতে জানে না। চালাতে পারছে না। সমস্যাটা তো সেই জায়গায়। আজকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আছে বানরের দল কিন্তু রাষ্ট্র চালাতে পারছে না। বাংলাদেশের জনগণ সেই খপ্পড়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে এত সমস্যা যে, কোন সমস্যার কথা বলব? সাম্প্রতিক আবরারকে হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যার কথা যদি আমরা বলি তাহলে আমাদের দোষ। আর সরকারি দলের কিছু নেতাকর্মীরা বলে বিএনপির আমলে তো সনি হত্যা হয়েছে, হ্যাঁ হয়েছে। তবে যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের শাস্তি হয়েছে। ভিসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। সনি হত্যাকাণ্ড একটি দুর্ঘটনা কিন্তু আবরার হত্যাকাণ্ড একটি পরিকল্পিত।
সরকারের মন্ত্রীদের সমালোচনা করে সাবেক এই এমপি বলেন, আমরা বহু বছর ধরে দেখছি আওয়ামী লীগের কিছু মন্ত্রী আছে তাদের মন্ত্রণালয় যে কাজ তার চেয়ে বেশি কাজ জিয়া পরিবার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছে। ওই নামে একটা মন্ত্রণালয় খুলে দিলে হাছান মাহমুদ, এইচটি ইমাম, মহিউদ্দিন খান আলমগীর, হানিফ ভালো করে এ মন্ত্রণালয়টি চালাতে পারতো। জরুরি ভিত্তিতে এই নামে একটি মন্ত্রণালয় তাদের জন্য করে দেয়া দরকার।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের ওপর হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা চেতনা নামের সংগঠন মিলে ছাত্রদলের ওপর হামলা করেছে। হামলা শেষে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাংবাদিকদের সামনে বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করায় তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলতে বলতে চেতনা হারিয়ে ফেলেন, অচেতন হয়ে পড়েন। এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে জাতিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, অন্যের ময়লা পরিষ্কার করার আগে নিজের ময়লা পরিষ্কার করেন। ক্যাসিনোর সম্পৃক্ততা থাকার কারণে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা যে সাংবাদিক, বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী, পুলিশের নাম বলেছে তাদের গ্রেফতার করুন। তাদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? মানুষের মনে আবরণ সৃষ্টি করে আপনি চলে যাবেন আর মনে করবেন সাবান দিয়ে চোখ পরিষ্কার করলেন আর হয়ে গেল, তা হবে না।
ড্যাবের সভাপতি হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব আব্দুস সালাম প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।