জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হ*ত্যা মামলায় গ্রেফতার আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বরগুনার জেলা কারাগার থেকে মিন্নি বের হয়ে আসেন। এসময় মিন্নির সাথে তার পরিবারের সদস্যসহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানিতে নো অর্ডার দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে রিফাত হ*ত্যা মামলায় মিন্নিকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল থাকে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসাইন বাপ্পী। আর মিন্নির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না।
রবিবার মিন্নির জামিনে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশের পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হয়েছেন সুফিয়া খাতুন।
আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রবিবার বলেছিলেন, মিন্নির জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ রবিবার আবেদন করেছে। সোমবার চেম্বার আদালতে শুনানি হতে পারে।
রবিবার সন্ধ্যায় মিন্নির আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, মিন্নির জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের কোনো কপি এখনো পাইনি।
এর আগে রবিবারই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত মিন্নিকে দেয়া জামিনের ৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট মিন্নিকে কেন জামিন দেয়া হবে না- মর্মে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দুই শর্ত দিয়ে মিন্নির অন্তর্বর্তী স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন।
শর্ত দুটি হল- ১. জামিনে থাকাবস্থায় মিন্নি তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের জিম্মায় থাকবেন; ২. জামিনে থাকাবস্থায় তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। এই দুই শর্তের ব্যত্যয় ঘটলে মিন্নির জামিন বাতিল হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগস্ট মিন্নির জামিনের বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। তবে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর মিন্নিকে মিডিয়ার সঙ্গে কথা না বলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ২৬ জুন রিফাতকে বরগুনার রাস্তায় প্রকাশ্যে কু*পিয়ে হ*ত্যা করা হয়। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরদিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন, তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকে। পরে মিন্নির শ্বশুর তার ছেলেকে হ*ত্যায় পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলে ঘটনা নতুন দিকে মোড় নেয়।
গত ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
পরদিন আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠান। রিমান্ডের তৃতীয় দিন শেষে মিন্নিকে আদালতে হাজির করা হলে সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে পুলিশ জানায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।