আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরে কঠোর কড়াকড়ি ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি। বিবৃতিতে তারা কাশ্মীরকে ‘অধিকৃত’ বলেও উল্লেখ করে।
আনাদলু জানায়, জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে ওআইসির জম্মু-কাশ্মীরের পর্যবেক্ষক দেশগুলোর মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারত শাসিত মুসলিম অঞ্চলটি নিয়ে ওআইসির অবস্থান পুনরায় ব্যাখ্যা করা হয়।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে ওআইসি জানায়, “অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের জাতি পরিচয় এবং জনমিতি পরিবর্তন করাই ভারতের লক্ষ্য। তারা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলটিকে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে রূপান্তর করতে চায়।”
১৯৯৪ সালে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে একটি কন্টাক্ট গ্রুপ গঠন করে ওআইসি। পর্যবেক্ষক দলটির সদস্য হচ্ছে তুরস্ক, আজারবাইজান, নাইজার, পাকিস্তান এবং সৌদি আরব।
বৈঠকটিতে ৮ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের একটি বিবৃতিকেও স্বাগত জানিয়েছে। যে বিবৃতিতে নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন অনুসারেই এই ইস্যুর সমাধান বলে মত দেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
ওআইসির বিবৃতিতে বলা হয়, “আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন ও সেখানে ভারতের প্রতিশ্রুতিগুলো সঙ্গে কাশ্মীরে বর্তমান নেওয়া পদক্ষেপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”
আগস্টের শুরুতে সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ভারত সরকার। কেন্দ্রশাসিত রাজ্য হিসেবে নয়াদিল্লির সঙ্গে যুক্ত করা হয় মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলটিকে।
বিশেষ মর্যাদা বাতিলের আগের দিন থেকে সেখানে কঠোর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। গত ৫০ দিন ধরে পুরো বিশ্ব থেকে কাশ্মীরকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।