অর্থনীতি ডেস্ক : বাংলাদেশে কৃষিভিত্তিক খানার (পরিবার) হার কমেছে প্রায় তিন শতাংশ। ২০০৮ সালে কৃষি খানার হার ছিল ৫৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২০১৯ সালে এসে এর হার দাঁড়িয়েছে ৫৩ দশমিক ৮২ শতাংশে। এতে দেখা যায় হ্রাস পেয়েছে ২.৯২ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত কৃষি শুমারি ২০১৯-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ চিত্র দেখা যায়। ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত শুমারি বর্ষ হিসেবে ধরা হয়েছে।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ভবনে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মো. রইছউল আলম মণ্ডল, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
শুমারির ফল অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোট খানার সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার ১৮০টি। এর মধ্যে শহরে ৫৯ লাখ ৮ হাজার ২০৫টি এবং গ্রামে ২ কোটি ৯৬ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৫টি খানা রয়েছে। আর কৃষি খানার সংখ্যা এই মুহূর্তে ১ কোটি ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ৯৭৪টি। এর মধ্যে শহরে ৬ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৫টি এবং গ্রামে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৪৫ হাজার ১১৯টি।
শুমারিতে মৎস্য খানা, কৃষি মজুর খানা, নিজস্ব জমি নেই এমন খানা, অন্যের কাছ থেকে জমি নিয়েছে এমন খানা ও মৎস্য চাষাধীন জমি আছে এমন খানার সংখ্যাও প্রকাশ করা হয়েছে।
সেই তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে মৎস্য খানার সংখ্যা ৯ লাখ ৯৫ হাজার ১৩৫টি। এর মধ্যে শহরে ৩১ হাজার ৮৭টি এবং গ্রামে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪৮টি। কৃষি মজুর খানার সংখ্যা ৯০ লাখ ৯৫ হাজার ৮৭৭টি। এর মধ্যে শহরে ১ লাখ ২১ হাজার ৬৩১টি এবং গ্রামে ৮৯ লাখ ৭৪ হাজার ৩৪৬টি খানা রয়েছে। নিজস্ব জমি নেই এমন খানার সংখ্যা ৪০ লাখ ২৪ হাজার ১৮৯টি। এর মধ্যে ১৭ লাখ ৯১৯টি খানা শহরে এবং গ্রামে ২৩ লাখ ২৩ হাজার ২৭৯০টি। অন্যের কাছ থেকে জমি নিয়েছে এমন খানার সংখ্যা ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার ৪৮৭টি। এর মধ্যে শহরে ২ লাখ ২৯ হাজার ২৪৫টি এবং গ্রামে ৬৫ লাখ ৩৪ হাজার ২৪২টি। মৎস্য চাষাধীন জমি আছে এমন খানার সংখ্যা ১৬ লাখ ৫ হাজার ১৮৫টি। এর মধ্যে শহরে ৫৩ হাজার ৫টি এবং গ্রামে ১৫ লাখ ৫২ হাজার ১৮০টি।
কৃষি শুমারি ২০১৯-এ দেশের বর্তমান মুরগি, হাঁস, টার্কি, গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।