গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শহরের পূর্বাংশ পানির নিচে চলে গেছে। চরাঞ্চলের ৪ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
জেলা সদরসহ সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা উপজেলার ২৬ ইউনিয়নের ২১৩ গ্রামের সকল মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
১৯৯৫ সালের পর এবার গাইবান্ধা শহরে পানি ঢুকেছে। এতে পৌর শহরের কুঠিপাড়া, সরদারপাড়া, বানিয়ারজান, মুন্সিপাড়া, ডেভিড কোংপাড়া, পূর্বপাড়া ও নিউ ব্রিজপাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে।
বন্যার্তরা শহরের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইসলামিয়া হাই স্কুলে আশ্রয় নেওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, গত চব্বিশ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ২৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে তিস্তার পানি ১২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা পৌর মেয়র শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন বলেন, সোমবার (১৫ জুলাই) থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পানির চাপে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ছয়টি স্থান ধসে সোমবার রাত থেকে শহরে বন্যার পানি ঢোকা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ৭টি পাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, পৌর এলাকার পানিবন্দি মানুষের জন্য ১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের মানুষের জন্য খাদ্য, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, বন্যায় ৩০ হাজার ঘরবাড়ি ও ৪ হাজার ১৫২ হেক্টর ফসলি জমি ডুবে গেছে। বন্যার্তরা বিভিন্ন বাঁধ, আশ্রয়কেন্দ্র, স্কুল ও মসজিদ মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটের সঙ্গে খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।