জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদপুরের মতলবে মাদ্রাসাশিক্ষার্থী সোহেল রানার (১৭) মস্তকবিহীন লা’শ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে লা’শটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সোহেল রানা দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের নন্দীখোলা সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহত সোহেল রানার মা সামছুন নাহার জানান, আমার ছেলে রাতের খাবার খেয়ে পাশের হাজী বাড়ির খৎনা অনুষ্ঠানে যাবে বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। সেখানে তার বড় ভাইও খৎনা অনুষ্ঠানের গান-বাজনা শুনে রাত ২টার সময় ঘরে আসে। সোহেল রানা তখন ঘরে ফিরে না। সকালেও ঘরে না ফিরলে আশপাশে খোঁজ খবর নেওয়া হয়। কোথাও না পেয়ে নায়েরগাঁও বাজারেও সোহেলের বাবাকে পাঠানো হয়।
সোহেলে মা বলেন, আমার কোন দুশমন নাই। কে আমার ছেলেকে মারলো। আমি আমার ছেলেকে যারা হ’ত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।
সোহেলর বাবা জমির হোসেন জানান, অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ঐ দিন বেলা ১২টার দিকে আমি ও আমার শ্যালক আবুল কালামসহ তার পরিত্যক্ত নতুন বাড়িতে খোঁজ করতে যাই। সেখানে ঘরে তাকে না পেয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখতে পাই আমার সোহেলের মস্তকবিহীন দেহ পড়ে আছে।
পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মো. মাহবুব বলেন, সোহেলের দেহের বাম দিকে ডেগার মা’রার দাগ রয়েছে। দেহ থেকে মস্তক আলাদা। মস্তক পাওয়া যায়নি। শরীরের নিচের অংশে বস্ত্রাদি ছিল না। আমরা এ হত্যার আলামত সংগ্রহসহ মামলার ছায়া তদন্ত হিসেবে কাজ করবো।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ বলেন, তার বাবার ধারণা সোহেলের মামা আবুল কালাম সোহেলকে নতুন মোবাইল দিয়েছে। ওটার জন্য হয়তো তাকে মে’রে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও অনেক বিষয় আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। তবে পূর্ব শত্রুতার জের থেকে এ হ’ত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আ’টক করা হয়নি। তদন্ত চলছে ও মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।