জুমবাংলা ডেস্ক : জাপানের আওকিঘারা বন। অসংখ্য বৃক্ষ ও তার ঘনত্বের কারণে এ বন খ্যাতি পেয়েছে ‘গাছের সমুদ্র’ হিসেবে। ‘সি অব ট্রিস’ নামের এ বনটি আত্মহত্যার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম।
মাউন্ট ফুজির উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এ বনে যেতে টোকিও থেকে গাড়িতে দু’ঘণ্টা সময় লেগে যায়। বনে গাছের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় বাতাসের উপস্থিতি কম। আর তা একে রূপ দিয়েছে ভৌতিক স্থানে। প্রতি বছর এখান থেকে শতাধিক মরদেহ উদ্ধার করা হয়। যা এ বনকে আত্মহত্যার জন্য বিশ্বে আকর্ষণীয় স্থানগুলোর মধ্যে টেনে এনেছে। কিন্তু মানুষ কীভাবে আত্মহত্যার জন্য এ জায়গাটা পছন্দ করলো? এ নিয়ে সংশয় ছিল। তবে এবার আড়াল থেকে কারণ বের হয়ে এসেছে।
জাপানি সাহিত্যিক সেইচো মাতসুমোতোর ‘কুরোই জুকাই’ উপন্যাসের একটি কাহিনী এর পেছনে থাকতে পারে বলে ধারণা। উপন্যাসের কাহিনী হচ্ছে- এক তরুণ প্রেমিক এ বনে আত্মহত্যা করে। তবে এটাই শেষ নয়। আরও অনেকেই তাদের লেখায় এ বনকে ‘আত্মহত্যার রসদওয়ালা স্থান’ এবং ‘মরার জন্য যথাযথ স্থান’ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
একটা সময় জাপানে আত্মহত্যার প্রচলন ছিল। ‘হারাকিরি’ নামের এ প্রথাকে সম্মানের চোখেই দেখা হতো।এক ধরনের আত্মহত্যার প্রথা চালু ছিল জাপানে। যাকে ‘হারাকিরি’ বলা হতো
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনো হয়তো জাপানিদের মধ্যে প্রাচীন সংস্কৃতির সঙ্গে যোগসূত্র রয়ে গেছে। যার কারণে আত্মহত্যার ঘটনাগুলো ঘটছে।
সরকার আত্মহত্যারোধে বহু চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পরও পুরো বিশ্বে যেসব দেশের মানুষ বেশি আত্মহত্যা করেন তার মধ্যে জাপান অন্যতম বলে পরিসংখ্যানে জানা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।