জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সাড়ে চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আজিজুল হক নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর আজ বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল বিকেলে গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশুর স্বজনদের বরাত দিয়ে শ্রীপুর থানার পুলিশ জানায়, শিশুর মা-বাবা দুজনই স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। প্রতিদিনের মতো গতাকল সকালে স্বজনদের কাছে শিশুটিকে রেখে কারখানায় যান তার মা-বাবা। দুপুরে বাড়ির উঠানে খেলছিল শিশুটি। ওই সময় শিশুটির চাচা চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে তাকে কোলে নিয়ে বাইরে যান। ঘণ্টা খানেক পরও ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তারা। ওই সময় শিশুসহ তার চাচারও কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না।
শিশুর বাবা জানান, মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না শুনে স্ত্রী কারখানা থেকে দুপুরেই বাড়ি ছুটে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুপুর ২টার দিকে পাশের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশের একটি সেতুর কাছে ঝোপের ভেতর তাদের পাওয়া যায়। ওই সময় বিবস্ত্র অবস্থায় তার মেয়ের মুখ বাঁধা ছিল। তাদের দেখে তার ছোট ভাই দৌঁড়ে পালিয়ে যান।
শিশুটির বাবা আরও জানান, রক্তাক্ত অজ্ঞান অবস্থায় তার মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখান থেকে তাকে (শিশু) গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। মঙ্গলবার বিকেলে তার মেয়ের জ্ঞান ফিরেছে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় মামলা রুজুর পরপরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়। পরে তাকে উপজেলার বেলতলী গ্রাম থেকে বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়।’
শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলেও পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।