জুমবাংলা ডেস্ক : উচ্চতা পাঁচ ফিট। দেহের গড়নও উল্লেখ করার মতো নয়। ছোটখাট ছেলেটির নাম সাইফুল ইসলাম শান্তি। হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের মার্কেটিং শেষ বর্ষের ছাত্র। গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার আমলাহার। বাবা আবদুল মজিদ কৃষক। তার আরো দুই ভাই বোন পড়া লেখা করছে।
নিজের টিউশনির টাকায় শান্তি লেখাপড়া করে। জমানো কিছু টাকা নিয়ে সে গুজব, ডেঙ্গু ও প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়ে সচেতনতায় নেমে পড়েছে পথে। পায়ে পায়ে পেরিয়ে এসেছে অনেক নগর আর গ্রাম। সে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থেকে বৃহস্পতিবার কুমিল্লায় এসেছে। নগরীর পুরাতন চৌধুরীপাড়ায় তার সাথে কথা হয়। হাঁটতে হাঁটতে তার পায়ে ঠোসা পড়েছে। ফেস্টুন নিতে গিয়ে কাঁধে দাগ পড়েছে। মাইক ধরতে গিয়ে হাতের তালুতেও দাগ। সে জানায়, মানুষ প্রতিবাদ করতে ভুলে যাচ্ছে। বরগুনায় রিফাতকে দিন দুপুরে হ’ত্যা করা হয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করেনা। সবাই দাঁড়িয়ে তামাশা দেখে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে। এখনও প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা যাচ্ছে না।
ইতোমধ্যে সে ৭০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটেছে। যাবে টেকনাফে। পথে বিভিন্ন নেতিবাচক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে। পঞ্চগড়ে শান্তি হামলারও শিকার হয়। কিছু ভালো অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। অনেকে খাওয়াতে চায়, রাত্রি যাপনের সুযোগ দিতে চায়। কেউ পকেটে কিছু টাকাও দিতে চায়। সে কারো সাহায্য নেয়নি। নিজের টিউশনির টাকায় খাবার ও থাকার খরচ মিটিয়েছে। কোথাও বেশি মানুষের উপস্থিতি দেখলে শান্তি হ্যান্ড মাইকে সচেতনতামূলক কথা বলতে শুরু করে।
শান্তি জানায়, মাথায় পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, ফেস্টুন আর হাতে হ্যান্ড মাইক দেখে অনেকে পাগলও বলে। সে গানের মতো করে বলে- পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না..! সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।