জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেটের বিশ্বনাথে পপি বেগম (২১) নামে এক তরুণী আত্মহ’ত্যা করেন। এ ঘটনার তিনদিন পর জানা গেল বোনের বাড়িতে গণধ’র্ষণের শিকার হয় হতদরিদ্র পরিবারের এক তরুণী।
পপি বেগম উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের লালটেক গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে।
বুধবার দিবাগত রাতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী চেরাগী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ওই তরুণী গণধ’র্ষণের শিকার হয়। সেখানে ১৫ দিন অবস্থান করার কথা থাকলেও পরদিন বৃহস্পতিবার ১১টার দিকে দুলাভাই ফয়জুর রহমানকে নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যান পপি বেগম।
বাড়িতে গিয়ে নিজ শয়নকক্ষে বসতঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহ’ত্যা করেন ওই তরুণী। জোহরের নামাজের জন্য মা তাকে ডাক দিতে গিয়ে পপির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে মা জ্যোৎসনা বেগমকে (৪৫) বিষয়টি খুলে বলেন ওই তরুণী। মানসম্মানের ভয়ে মা জ্যোৎসনা বেগম কাউকে বিষয়টি বলেননি।
ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন শুক্রবার তাকে দাফনও করা হয়। এমনকি পপির পিতা শুকুর আলী বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলাও দায়ের করেছেন।
আর আত্মহ’ত্যার তিনদিন পর মা জ্যোৎসনা বেগম তার ভ্যানেটি ব্যাগে একটি চিরকুট পান। ওই চিরকুটে লেখা ছিল বুধবার রাতে দক্ষিণ সুরমার তেতলী চেরাগী গ্রামে বোনের বাড়ি থেকে পপিকে উঠিয়ে নিয়ে যায় একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নামের এক যুবক ও তার সহযোগীরা। রাতভর ধ’র্ষণের পর বৃহস্পতিবার ভোরে বোনের বাড়িতে আবার রেখে যায় ধ’র্ষণকারীরা।
পরে সকালে বাড়ি ফিরেই নিজ বসতঘরে আত্মহ’ত্যা করেন পপি বেগম। ওই অপমৃত্যু মামলার পর সোমবার বিশ্বনাথ থানায় একটি গণধ’র্ষণ মামলাও করেন তার পিতা শুকুর আলী।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সোমবার বিকালে পপির বড় বোনের জামাই তেতলী চেরাগী গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের পুত্র ফয়জুর রহমানকে (২৬) গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে তাকে সিলেট কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে থানার ওসি শামীম মুসা জানান।
তবে সোমবার দিবাগত রাতে পপির দুলাভাইয়ের ট্রাক্টরচালক একই গ্রামের সমছু মিয়ার পুত্র আবদুল মালেকের (২২) ছোট ভাই ছালেক আহমদ (১৮) ও তেতলী বাজারের নৈশপ্রহরী খালিক মিয়াকে (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।