জুমবাংলা ডেস্ক : অবৈধ ক্যাসিনো ও জুয়া থেকে লাভবান হওয়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তালিকা হচ্ছে। ক্যাসিনো বন্ধ অভিযানে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এই তালিকা করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুপুরে নিজ দফতরে এক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
পুলিশ কমিশনার জানান, বিভাগীয় মামলা হলেও ফৌজদারি আইনেও ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ কম। তিনি জানান, এরই মাঝে ২ পুলিশ সদস্যকে ক্যাসিনো ইস্যুতে বরখাস্ত করা হয়েছে। ক্যাসিনো মামলা তদন্তের জন্য একটি দল গঠন করা হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কমিশনার বলেন, জড়িতদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে, তালিকার পরে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৮ সেপ্টেম্বর থেকে জুয়া-ক্যাসিনো বন্ধে অভিযান শুরু হয়। এই আট দিনে ২১টি ক্লাব,৪টি বার, যুবলীগ নেতার ৩টি বাসা ও ১টি দপ্তরে অভিযান চালানো হয়েছে।
পুলিশেরই একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে, ক্যাসিনোগুলো চলছিল রাজনীতিক ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে। পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত পর্যায়ে তাঁরা জানতে পারেন, অবৈধ ক্যাসিনো চলত পুলিশের পাহারায়। শুধু পুলিশই নয়, গোয়েন্দা সংস্থার অনেক সদস্যও এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর সুযোগ করে দিয়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পেত পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, ক্যাসিনোর অস্তিত্ব সম্পর্কে ২০১৭ সালের জুনেই পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারে। পরের বছরের মার্চে মা*দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। তারপরও ক্যাসিনোগুলো বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেয়নি পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।