জুমবাংলা ডেস্ক: ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষে চার জন নিহত হওয়ার ঘটনায় মুসলিম ঐক্য পরিষদ আয়োজিত আজ সোমবার সকাল ১১টায় ভোলা সরকারি স্কুল মাঠের পূর্ব নির্ধারিত প্রতিবাদ সমাবেশ হচ্ছে না।
সংগঠনের অন্যতম নেতা মাও: মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় তারা সমাবেশ করছেন না।
রবিবার বিকালে ভোলা প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের নেতারা সোমবারে প্রতিবাদ সভা ঘোষণার পাশাপাশি ৬ দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন।
দাবিগুলো হচ্ছে- বিপ্লব চন্দ্র শুভর ফাঁসি কার্যকর, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর, আহতদের সরকারি খরচে চিকিৎসা, ভোলার পুলিশ সুপার ও বোরহানউদ্দিনের ওসিকে প্রত্যাহার, নিহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও গ্রেফতারদের বিনা শর্তে মুক্তি প্রদান।
ফেসবুকে একটি বিভ্রান্তিকর পোস্টের সূত্র ধরে রবিবার ভোলার বোরহানউদ্দিনে সংঘর্ষে চারজন নিহতের ঘটনায় এখনও আতঙ্ক কাটেনি। পুরো জেলায় থমথমে পরিস্থতি বিরাজ করছে। অধিকাংশ দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, ফেসবুকের এক আইডি থেকে মহানবী (স.) কে কথিত ‘কটূক্তি’র জের ধরে রবিবার তৌহিদি জনতার ব্যানারে ডাকা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ তাড়াতাড়ি শেষ করার নির্দেশ দেয় পুলিশ। এতে ঘটনাস্থলে আসা গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ছুড়লে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ভোলা জেলা শহরে পুলিশ টহল দিচ্ছে। ভোলা মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, পাশ্ববর্তী জেলা থেকে ভোলায় অতিরিক্ত দু’শতাধিক পুলিশ আনা হয়েছে।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, শহরের পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে বোরহানউদ্দিনে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে পুলিশ,বিজেবি ও কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।