রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরের পীরগঞ্জে ভেণ্ডাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে থানা ঘেরাও করে বুধবার সকাল ১১টার দিকে এলাকাবাসী বিক্ষোভে নামলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোঁড়ে। এ সময় পুলিশ ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে ওসিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুরসহ পাঁচ পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পীরগঞ্জের বড় দরগা এলাকায় চোলাই মদসহ শামসুল হক নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে তাকে ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়। কিন্তু বুধবার সকালে ওই আসামির মৃত্যু হয়। পুলিশ আত্মহত্যা বললেও এলাকাবাসীর দাবি তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত শামসুল হক পীরগঞ্জের শান্তিপুর মির্জাপুর এলাকার মৃত মফিজউদ্দিনের ছেলে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু করলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোঁড়ে পুলিশ। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ২০ জন।
সংঘর্ষের আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে এবং রংপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।