গলায় ফাঁ’স দিয়ে আ’ত্মহত্যাকারী গৃহবধুর লা’শ দাফনের ২ মাস ১০ দিন পর মঙ্গলবার দুপুুরে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারের একটি কবর স্থান থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের অনুমতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন। এ সময় বগুড়ার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল রানা এবং স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ২৭মে রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই সন্তানের মা গৃহবধু আনিকা নওশিন (২৫) ঢাকার ৪৫/এ নিউ ইস্কাটনের বিয়াম গলির একটি ফ্লাট বাসার শয়ন ঘড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আ’ত্মহত্যা করে। পর দিন আনিকার লাশ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের নতুন বাজার (গুলশান আবাসিক) এলাকার বায়তুল আমান জামে মসজিদের আঙ্গিনায় দাফন করা হয়। মৃত আনিকা নওশিন ও তার স্বামী মেরিন বিভাগের চীপ ইঞ্জিনিয়ার শাকিল আদনান সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই-বোন ছিল। উভয়ের গ্রামের বাড়ি সান্তাহার পৌর এলাকার নতুন বাজার এলাকায়। চাকরি সুত্রে ঢাকায় বসবাস করতেন।
এদিকে আনিকার আ’ত্মহত্যার পর উভয় পরিবার এবং নিকটাত্মীয়দের মধ্যে সমঝোতার প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়। কিন্তু ঘটনার এক মাস পর ২৬ জুন আনিকার বড় বোন নাজমুন নাহার বাদী হয়ে ঢাকা’র হাতিরঝিল থানায় আ’ত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে আনিকার স্বামী শাকিল আদনানকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়ীত্ব দেওয়া হয় সিআইডি প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে।
তদন্তকালে ১৯ জুন মামলার একমাত্র আসামী শাকিল আদনান কে গ্রে’ফতার করা হয়। পরে তিনি আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। এদিকে মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই গৃহবধুর লা’শ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেন। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে লাশ তোল হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।