অর্থনীতি ডেস্ক : চলতি বছরের জুনের মধ্যে চট্টগ্রামে নির্মিতব্য নতুন বন্দর বে-টার্মিনাল থেকে পণ্য ডেলিভারি শুরুর কথা থাকলেও সেটি ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। বে-টার্মিনালে ডেলিভারি ইয়ার্ড দূরে থাক, শুরু হয়নি মাটি ভরাটের কাজও। আগামী এক বছরে পণ্য ডেলিভারি শুরু হবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেষে ৯’শত ৭ একর জমিতে সাড়ে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় গড়ে তোলা হচ্ছে বে টার্মিনাল। চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কমাতে প্রাথমিকভাবে ৬৮ একর জমি কিনে দুটি প্লটে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজ ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০১৯ সালের জুন মাসে বে-টার্মিনাল থেকে পণ্য ডেলিভারি শুরুর কথা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাটি ভরাট শুরু হয়নি।
বে-টার্মিনালে কবে নাগাদ মাটি ভরাট, ইয়ার্ড ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ হবে তা এখনো অনিশ্চিত। তবে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি দ্রুততার সাথে কাজ শেষ করার পরামর্শ ব্যবসায়ীদের।
বে-টার্মিনাল নির্মাণ হলে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছা জাহাজগুলো সরাসরি জেটিতে ভিড়তে পারবে। বর্তমান বন্দরে একসাথে ১৬টি জাহাজ বার্থিং করা গেলেও বে-টার্মিনালে গড়ে ৩০ থেকে ৩৫টি জাহাজ একসাথে বার্থিং করা যাবে।
অভিযোগ রয়েছে অনভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার কারণেই কাজের দীর্ঘসূত্রতা ও নানা জটিলতা ঘটছে। ২০২২ সালের মধ্যে পুরো প্রকল্প বাস-বায়িত হওয়ার কথা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।