জুমবাংলা ডেস্ক : মৌলভীবাজারে যৌ’ন হয়রানির অভিযোগে আবুল হাশেম নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে আ’টক করা হয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুলাউড়ার ব্যস্ততম মার্কেট মিলি প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে।
আবুল হাশেম জুড়ি উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের নওয়াগ্রাম শিমুলতলা দাখিল মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে তিনি।
জানা গেছে, কোনো কারণ ছাড়াই আবুল হাশেম এক নারীর শরীরে হাত দেন। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ছুটে এসে আবুল হাশেমকে আ’টক করেন। পরে নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিয়ে তিনি সেখান থেকে কোনো রকমে পালিয়ে আসতে চাইলে পৌরসভার সামনে তাকে আবারো আট’ক করে জনতা। খবর পেয়ে এসআই আবুল বাশার সেখান থেকে তাকে আট’ক করে কুলাউড়া থানায় নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিনি ওই মাদরাসায় বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের যৌ’ন হয়রানি করেছেন। তবে লোকলজ্জায় কোনো শিক্ষার্থী মুখ খুলতে রাজি হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিলি প্লাজায় কেনাকাটা করতে আসা এক নারীর শরীরে আচমকা হাত দেন আবুল হাশেম। এ সময় ওই নারী চিৎকার শুরু করলে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ছুটে এসে হাশেমকে আট’ক করেন। পরে তাকে উত্তম মধ্যম দেয়ার সময় তিনি নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে জনতার ধাওয়া খেয়ে পৌরসভার সামনে এলে তাকে আবার আ’টক করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে আট’ক করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশের দাবি, এর আগেও ওই মাদরাসা শিক্ষক মিলি প্লাজায় চুরির ঘটনায় আট’ক হয়েছিলেন। পরে স্ত্রী-সন্তান ও জুড়ি উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জনতা ওই শিক্ষককে আ’টক করলে আমরা তাকে থানায় নিয়ে আসি, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।