জুমবাংলা ডেস্ক : নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মা’দকের টাকা না পেয়ে বাবা-মাকে অব্যাহতভাবে মারধর ও জ্বালাতন করার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাজন মিয়া (২৪) নামে এক যুবককে অবশেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে নেত্রকোনা কারাগারে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত সাজন মিয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের চেংজানা গ্রামের জসিমউদ্দিনের ছেলে।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্র জানায়, ওই গ্রামের জসিমউদ্দিনের ছেলে সাজন মিয়া এলাকার একজন চিহ্নিত মা’দকসেবী। ইয়াবা এবং গাঁজায় আসক্ত সে নেশার টাকার জন্য প্রায়ই বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজনকে মারধর করত। সেই সঙ্গে নেশা করার জন্য ধারদেনা করলেও তা আর পাওনাদারদের ফেরত দিত না। পরে ছেলের ওই দেনা জসিমউদ্দিনকেই পরিশোধ করতে হত। তা ছাড়া নেশার টাকা যোগাড় করতে টাকা চুরি করার অভ্যাসও ছিল তার। এ অবস্থায় মা’দকাসক্ত ছেলের অত্যাচার ও জ্বালাতনে তার বাবা-মা ও পরিবারের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
একপর্যায়ে পাষণ্ড ছেলের জ্বালাতন সইতে না পেরে বাবা জসিমউদ্দিন কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানের শরণাপন্ন হন। পরে ওসি রাশেদুজ্জামান বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান রুহুল ইসলামকে অবহিত করেন। এরই প্রেক্ষিতে ইউএনও আল-ইমরান রুহুল ইসলাম বুধবার সন্ধ্যার দিকে সাজন মিয়াদের বাড়িতে যান। এ সময় নির্বাহী হাকিম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান রুহুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে অভিযোগের সত্যতা মেলে এবং অভিযুক্ত সাজন মিয়াও নিজের দোষ স্বীকার করেন। তা ছাড়া পরিবারের লোকজনও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এরই প্রেক্ষিতে আদালত অপরাধের মাত্রা এবং সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে অভিযুক্ত সাজন মিয়াকে দণ্ডবিধির ৩৫৫ ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ সময় কেন্দুয়া পুলিশের একটি দল আদালতকে সহায়তা করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান জানান, দণ্ডিত যুবককে বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।