জুমবাংলা ডেস্ক : নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এক সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণ ছিলেন। এখন যেমন সাকিব-তামিম-মুশফিকদের কদর চারদিকে। এক সময় এমনই একজন ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। সোমবার হঠাৎই তিনি আলোচনায় আসলেন। তবে এ সবের কারণে নয়, এবার তিনি আলোচনায় আসলেন দুই পদ আঁকড়ে ধরার কারণে।
তিনি একাধারে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর সভাপতি। অন্যদিকে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনক। অথচ পদ দুটির একটি থাকলে আরেকটিতে থাকার সুযোগ থাকে না। কিন্তু তিনি দুই পদেই আছেন দাপটের সঙ্গে।
ক্রিকেটাররা যে ১১ দফা দিয়েছেন তার প্রথমটি হলো কোয়াবের নেতৃত্বকে পদত্যাগের বিষয়টি। বিসিবি সভাপতি যেহেতু সব দাবি মেনে নিয়েছে সেহেতু কোয়াবের পদ থেকে সভাপতি-সেক্রেটারির পদত্যাগ করার কথা।
শুধু তাই নয়, সোমবার থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, কোয়াবের সভাপতি, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমান বিসিবি পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয় পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন।
কিন্তু আজ বিকেলে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের ইস্যুতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মিডিয়া ব্রিফিংয়ের পর সংবাদ সম্মেলন করে কোয়াবও। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কোয়াব সভাপতি নাঈমুর রহমান দুর্জয় এবং সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল।
সেই সংবাদ সম্মেলনে দুর্জয় বলেন, কোয়াব থেকে আমার পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। আগে নির্বাচন আসুক। সেখানে যার সমর্থন সবচেয়ে বেশি, যাকে ক্রিকেটাররা চাইবে-তাকেই নির্বাচিত করবে। সেখানে আমি হই, কিংবা অন্য যে কেউ হোক- হতে পারে। অথচ কেউ কেউ বলছে, আমি নাকি পদত্যাগ করছি। কিন্তু এটা ভুল। আমি পদত্যা করছি না।
দুর্জয় জানান, ধর্মঘট কিংবা ক্রিকেটাররা তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে এবার আর কোয়াবের কারো কাছে আসেনি। তিনি বলেন, ‘প্লেয়াররা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সব সময়ই আামদের কাছে আসতো; কিন্তু এবার আমাদের কাছে আসেনি তারা। তাদের এসব বিষয় নিয়ে আমরা কিছুই জানতাম না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।