আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পার্শ্বশিক্ষকদের সহকারী শিক্ষকের মর্যাদার দাবিতে পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষকদের বেধড়ক লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। শিক্ষকদের অভিযোগ, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অনশনমঞ্চের আলো নিভিয়ে শিক্ষিকাদের পোশাক ছিঁড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে৷ শিক্ষকার ব্লাউজ ছেঁড়া হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে তাণ্ডবের অভিযোগ তুলে আগামীকাল সোমবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন শিক্ষকরা।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের অভিযোগ, নারী পুলিশ না আনিয়ে শিক্ষিকাদের ওপর তাণ্ডব চালানো হয়েছে। নির্বিচারে লাঠিচার্জ করা হয়েছে৷ পুলিশি তাণ্ডবের প্রতিবাদে কল্যাণী স্টেশন লাগোয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করে রেখেছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা।
পুলিশের দাবি, অনুমতি না নিয়ে অনশন করার অভিযোগে তাদের এলাকা ফাঁকা করতে নির্দেশ দেয়া হয়৷ এই নিয়ে পুলিশ ও শিক্ষকদের মধ্যে শুরু হয় তুমুল বাগবিতণ্ডা। শিক্ষকরা অভিযোগ করছেন, নির্বিচারে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়।
পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘শতাধিক শিক্ষককে মারধর করা হয়েছে। এটা কোনও গণতান্ত্রিক সরকারের কাজ হতে পারে না। কলকাতা থেকে মার খেয়ে কল্যাণীতে এসেছিলাম। এখানেও মেরে তাড়িয়ে দেয়া হলো।’
পার্শ্বশিক্ষকদের দাবি, প্রাথমিক স্কুলে তাদের ১০ হাজার টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ১৩ হাজার টাকা বেতন দেয়া হয়। ২০০৪ ও ২০০৭ সালে নিয়োগ পাওয়া পার্শ্বশিক্ষকদের যোগ্যতা পূর্ণ সময়ের শিক্ষকদের চেয়ে কম নয়। তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এখন উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ।
কিন্তু এই পার্শ্বশিক্ষকেরা যখন উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ পেয়েছিলেন তখন তাদের ন্যূনতম যোগ্যতা ছিল স্নাতক। ফলে অনেক পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে পূর্ণ সময়ের শিক্ষকের চেয়ে এগিয়ে। তাদের আক্ষেপ: তৃণমূল নেতৃত্ব এক সময়ে পূর্ণ সময়ের শিক্ষকের মর্যাদা দেয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।