হাজীগঞ্জের বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের রায়চো গ্রামের দিনমজুর আর ইট ভাটার শ্রমিক দুলাল মিয়া ও কোহিনুর বেগমের মেয়ে পান্না আক্তার মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে চান্স পান।
কিন্তু দিনমজুর বাবার পক্ষে কোনোভাবেই ভর্তির টাকা যোগানো সম্ভব ছিল না। ভর্তির টাকা যোগাতে না পারলে পান্নার মেডিক্যালে পড়া হতো না। এ কারণে পান্না আক্তার নীরবে চোখের পানি মুছে সময় কাটাতেন।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খাঁনের একবাক্যে পান্নার পরিবারে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়া পান্নার ভর্তি নিয়ে পুরোপুরি অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলো পরিবার, শিক্ষকসহ সহপাঠীরা। পান্নার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির পুরো ব্যয়ভার বহন করবেন চাঁদপুরের এই সুযোগ্য জেলা প্রশাসক।
বিষয়টি পান্নার কলেজ অধ্যক্ষের মাধ্যমে তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। পান্না এসএসসি পরীক্ষায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বেলচোঁ উচ্চ বিদ্যালয় ও এইচএসসিতে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছেন। মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় পান্না ৬৭২ তম স্থান অর্জন করেন।
পান্নার মা কোহিনূর বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুনেছি ডিসি স্যার আমার মেয়ের ভর্তির খরচ দেবেন। তিনি কে আমি জানি না। তবে আল্লাহ যেন তার সকল মনের বাসনা পূর্ণ করে দেন।
অনেকটা কান্নাজড়িত কণ্ঠে পান্না জানান, আজ থেকে আমার একটু ঘুম হবে। আমাদের কলেজের সভাপতি ডিসি স্যার আমার ভর্তির টাকা দেবেন। আমার আর কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই।
আল্লাহ আমার মনের বাসনা পূর্ণ করেছেন। আমি সারাজীবন গরিব মানুষের সেবা করবো আর যে মানুষগুলো আমার পড়ালেখায় সহায়তা করেছেন তাদেরকে আমি পিতার আসনে স্থান দেব।
জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খাঁন জানান, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে মেয়েটির যে টাকা লাগবে তা আমি দেব। অপর এক প্রশ্নে জেলার শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, ভর্তির পরের বিষয়টা পরে দেখা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।