স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতের কোচ হতে সাক্ষাৎকার দেওয়া হেসন বিসিবির কাছে পারিশ্রমিকটা একটু বেশিই চেয়ে ফেলেছিলেন, মাসে যেটি ৩০ হাজার ডলারেরও (২৫ লাখ টাকা) বেশি। তার শর্তও ছিল অনেক। আগামী ৩-৪ মাসের আগে কাজে যোগ দিতে পারবেন কি না, এটি নিয়েও ছিল সংশয়। বেতন চাচ্ছেন বেশি, কবে আসবেন সেটিও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না—বিসিবি তাই তার জন্য বসে থাকেনি! ডোমিঙ্গোকে তাই দ্রুত নিয়ে নেওয়া যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে তাদের।
অথচ একটা সময় সাকিব-তামিমদের কোচ হওয়ার দৌড়ে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে এগিয়ে। কিন্তু বিশাল দর হেঁকে শেষ পর্যন্ত পিছিয়েও যান। অবশ্য তার প্রত্যাশিত পারিশ্রমিকের অঙ্ক শুনে বিসিবি কর্মকর্তাদের ভড়কে যাওয়ার সঙ্গে হেসনের ভারতীয় দলের সম্ভাব্য হেড কোচ হিসেবে সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নেওয়ার যোগসূত্রও আছে। এটি তো ইতিমধ্যে সবারই জানা হয়ে গেছে যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কোচ নিয়োগ কমিটির নেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রথম হওয়া রবি শাস্ত্রীর চেয়ে অল্প ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় হয়েছেন হেসন।
বিশাল অঙ্কের বেতনে ভারতের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে থাকতেই দরও বাড়িয়ে দেন এই নিউজিল্যান্ডার। তাতে এক পা এগিয়ে আবার কয়েক পা পিছিয়ে যায় বিসিবিও। দিন দুয়েক আগে কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত এক সূত্রের ক্ষোভও তাই প্রকাশ্য হয়ে পড়ে এই কথায়, ‘এক মিলিয়ন ডলার (বছরে) চাইলেই আমরা দেব নাকি?’ বছরে ১০ লাখ ইউএস ডলারের চাহিদাই হেসনের ব্যাপারে ব্যাকফুটে চলে যায় বিসিবি।
তবে সবশেষ যোগাযোগে সেই অঙ্ক কমেছিল। কিন্তু কমার পরেও সেটি ‘ভীতিকর’ অঙ্ক ছিল বলেই জানা গেছে। চন্ডিকা হাতুরসিংহেকে মাসে প্রায় ২৮ হাজার ডলার বেতন দিত বিসিবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।