জেনে শুনেই বাল্যবিয়ে করতে এসেছিলেন মানিক। বিয়েবাড়িতেও তোড়জোড় চলছিলো ধুমধাম করে। কিন্তু সব আয়োজন পণ্ড করে দিল একটি নম্বর- ৯৯৯।
স্থানীয়দের ফোন পেয়ে বিয়েবাড়িতে হাজির ইউএনও-পুলিশ। নতুন বউ নিয়ে বাড়ি না এসে মানিক গেলেন থানায়। মুচলেকা-জরিমানা দিয়ে নানান ঝক্কি ঝামেলা শেষে মুক্তি মিলল তার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চমকপ্রদ ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুরের মশিন্দা ইউপির রাণীগ্রামে।
ওই গ্রামের মো. মিলনের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে দেয়া হচ্ছিলো পাবনার চাটমোহরের রওশন আলীর ছেলে মানিকের সঙ্গে।
৯৯৯-এ প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে গুরুদাসপুরের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হন বিয়েবাড়িতে। বর-কনের বাবাকে আটকের পর ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেয়ার মর্মে মুচলেকা আদায় করেন তিনি।
এ সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন, গুরুদাসপুর থানার এসঅই লেবু, এসআই কালামসহ প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।