লাইফস্টাইল ডেস্ক : বৃষ্টিভেজা দিনে মন ভাল করার উপলক্ষের অভাব হয় না। তবু বর্ষা এলেই কপাল ভাঁজ পড়ে। যখনই মনে হয় অফিস যেতে হবে, তখনই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে রাস্তার কাদার ছিটেয় অফিসের পোশাক যেন নষ্ট হয়ে না যায়। আর পোশাক সমস্যা সমাধানে জর্জেটের জুরি মেলা ভার।
বর্ষায় জর্জেট চলছে অনেক দিন থেকেই। তবু বছর বছর বদলে যাচ্ছে তার ধরন, মান আর ডিজাইন। শহরে প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল জানাচ্ছেন, বর্ষার উপযোগী জর্জেট আর সারা বছর পরা জর্জেটের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। তার মধ্যে প্রথমেই আসে রং। বর্ষায় চারদিক কেমন যেন স্যাঁতস্যাঁতে, থমথমে রং মাখা। তাই বর্ষায় পড়ার জর্জেট কিনতে হলে বেছে নিতে হবে উজ্জ্বল রং। এ বছর ব্লক কালার ফ্যাশন ইন। তাই রং হিসেবে উজ্জ্বল হলুদ, টুকটুকে লাল, গাঢ় নীল, বেগুনি, ঝলমলে সবুজ রং বাছতে পারেন। জর্জেটের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্লোরাল প্রিন্ট। আর তাতেও এই উজ্জ্বল রংগুলি ভীষণভাবে প্রযোজ্য।
পোশাক নিয়ে সচেতন যাঁরা, তাঁদের মতে এখন বদলে গিয়েছে পোশাকের ধরনও। আগের ধাঁচ আর নেই বললেই চলে। সামনে বা পেছনে বাড়িয়ে, ক্রেপের মতো জুড়ে তৈরি হচ্ছে বর্ষার পোশাকের ডিজাইন। ফ্যাশন উইকগুলোর সুবাদে এখন উন্নত বিশ্বের দেশের ফ্যাশনকে নকল করছে সকলেই। সেই হিসেবে ম্যাক্সি ধাঁচের জনপ্রিয়তা বেড়েছে চোখে পরার মতো। বর্ষার ভ্যাপসা গরম তো বটেই, পানি-কাদা থেকে নিজেকে এবং পোশাককে বাঁচাতে ম্যাক্সি ধাঁচের জামা বানাতে তাই অনেকেই বেছে নিচ্ছেন জর্জেটের কাপড়।
শুধু পোষাকের কাপড় বা ধাঁচে নয়। পরিবর্তন এসেছে পোশাকের হাতায়। জর্জেট পোশাকে অফ শোল্ডার, কোল্ড শোল্ডার, প্রজাপতি এবং বেল স্লিভের ডিজাইন এখন ফ্যাশনে ইন। শুধু ড্রেসে নয়, ব্লাউজেও বেড়েছে বেল স্লিভের প্রভাব।
এদিকে, বর্ষায় জর্জেট শাড়ির মতো আরাম আর কোনো শাড়িতে নেই বলেই মত শাড়িপ্রেমিদের। ওয়েটলেস জর্জেট শাড়িগুলো সাধারণত একরঙা হয়। তাই এই বছর একরঙা শাড়ির সঙ্গে রঙিন, ঝলমলে ব্লাউজ বেশি দেখা যাবে। হালকা রঙের একরঙা জর্জেট শাড়িই এবারের হট ফ্যাশন। তাতে হতে পারে প্রিন্ট বা জুড়ে নেওয়া যেতে পারে চওড়া বা সরু জিজাইনার পার। অনেকেই আবার জর্জেট শাড়ি গায়ের সঙ্গে মিশে থাকে বলে অস্বস্তিতে ভোগেন। তাঁদের জন্য ফ্যাশন ডিজাইনারের পরামর্শ, ভারী জর্জেট পরুন। আর পার্টির জন্য বেছে নিন শিফন। স্বচ্ছতা নিয়ে দ্বিধা থাকলে ক্রেপও পড়তে পারেন।
তবে বর্ষায় কেন জর্জেট পরবেন? ফ্যাশন জিজাইনারদের মতে বর্ষায় জর্জেট পরার সবচেয়ে বড় সুবিধা খুব দ্রুত পানি শুজিয়ে যায়। ফ্যানের নিচে বসলেই পাঁচ মিনিটে পোশাক শুকিয়ে যায়। দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই আপনি কী পরিমাণ জলকাদা ঠেলে অফিসে পৌঁছেছেন। আর তাতে কাদার দাগ পড়ে গেলেও তোলার তেমন কষ্ট নেই। জর্জেটকে হালকা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই নোংরা ভ্যানিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।