জুমবাংলা ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শুক্রবার ভারতের বাহরামপুর-ভুবেনশ্বর উপকূলে আঘাত হানার পর শনিবার বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে। মূলত ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর এবং চুয়াডাঙ্গায় থাকবে ফণী’র কেন্দ্র। তবে সারাদেশেই তার প্রভাব পড়বে। এদিকে বঙ্গোপসাগর সৃষ্ট নিম্মচাপ ‘ফণী’র আয়তন ২ লক্ষাধিক বর্গ কিলোমিটার। আর বাংলাদেশেরর ভৌগলিক আয়তন ১৪৭৫৭০ বর্গ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ‘উইন্ডি ডটকম’ থেকে পাওয়া স্যাটেলাইট চিত্র এমনই আভাস দিচ্ছে।
উইন্ডি বলছে, শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করে বাংলাদেশের ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা এবং চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। এ সময় ফণী’র ধ্বংসলীলা চলতে পারে পুরো দেশই।
বর্তমানে ফণী পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
বুধবার বাংলাদেশ সময় ১২টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১ হাজার ২৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হওয়া আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সাগরে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোতে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।