আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্রম হ্রাসমান জনসংখ্যা ইউরোপের অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর জন্য একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান সময়ে। এই সমস্যার একটি অভিনব সমাধান খুঁজে বের করেছে ফিনিশ শহর লেসতিইয়ারভি। শহরটির বাসিন্দাদের বাচ্চা নেয়ার জন্য অনুদান দিচ্ছে শহরটির প্রশাসন।
ক্রম হ্রাসমান জনসংখ্যা ইউরোপের অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর জন্য একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান সময়ে। এই সমস্যার একটি অভিনব সমাধান খুঁজে বের করেছে ফিনিশ শহর লেসতিইয়ারভি। শহরটির বাসিন্দাদের বাচ্চা নেয়ার জন্য অনুদান দিচ্ছে শহরটির প্রশাসন।
ইউরোপের অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি ফিনল্যান্ড। ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪২৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটির জনসংখ্যা ২০১৭ সালে ছিলো মাত্র ৫৫ লাখ ২১ হাজার ১৫৮। অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রায় তিন গুণ আয়তনের এই দেশটির জনসংখ্যা বাংলাদেশের জনসংখ্যার মোট জনসংখ্যার ৩২ ভাগের এক ভাগ মাত্র!
২০১২ সালে লেসতিইয়ারভি শহর প্রশাসন আবিষ্কার করে যে শহরে কোনো নবজাতক নেই। ঠিক তার আগের বছরে শহরটিতে মাত্র একজন শিশু জন্ম নেয়। তৎক্ষণাৎ শহরটির বাসিন্দারা বুঝতে পারে সামনে কঠিন সময় আসছে, এবং সেটার মূল কারণ ক্রম হ্রাসমান জনসংখ্যা।
লেসতিইয়ারভির একজন বাসিন্দা পলা ইয়োকেলা। পেশায় এলিমেন্টারি স্কুলের শিক্ষক ইয়োকেলা বলেন, “পরবর্তী বছরে ক’জন শিশু জন্ম নিবে সেদিকে আমরা তৎক্ষণাৎ নজর দিলাম। যখন আমরা দেখলাম যে আসলেই মাত্র একজন শিশুই জন্ম নিয়েছে, আমরা সবাই এ ব্যাপারে সজাগ হলাম।“
জনসংখ্যার দিক দিয়ে ফিনল্যান্ডের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম শহর বা গ্রাম লেসতিইয়ারভি। শহরের বাসিন্দার সংখ্যা মাত্র ৭২৫ জন। এই শহরটিতে অবস্থিত স্কুলটির ক্লাসগুলো সব ফাঁকা। ২০১২ সালে জন্ম নেয়া শিশু কেরতু নেভালার বয়স এখন সাত বছর। স্কুলে তার ক্লাসে সহপাঠী রয়েছে মাত্র একজন।
লেসতিইয়ারভির জনসংখ্যাহীনতার সমস্যা কাটাতে শহরটির পৌরসভা সিদ্ধান্ত নেয়, পরবর্তী ১০ বছর ধরে শহরটির বাসিন্দাদের বাচ্চা নেয়ার জন্য প্রতি বছরে প্রতি শিশু বাবদ এক হাজার ইউরো দেয়া হবে। অর্থাৎ ১০ বছরে একজন শিশুর জন্য পরিবার পাবে ১০ হাজার ইউরো, যা । বাংলাদেশের টাকায় ৯ লাখ হাজার টাকা। তবে শর্ত হলো, শিশু বা শিশুর পরিবার শহর ছেড়ে কোথাও যেতে পারবে না। সাময়িকভাবে শহর ছেড়ে গেলেও বরাদ্দকৃত অনুদান বাতিল হয়ে যাবে।
সাত বছর পর ২০১৯ সালে এসে দেখা যাচ্ছে, শহরের স্কুলটিতে এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ জন। এলিমেন্টারি স্কুলের শিক্ষক পলা ইয়োকেলা বলেন, দেখা যাচ্ছে শিশুদের সংখ্যা কিছু বেড়েছে, আমরা অন্তত স্কুলটি চালু রাখার মতো পর্যাপ্ত সংখ্যক শিশু পেয়েছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।