জুমবাংলা ডেস্ক : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে তুলে নিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে (১২) গণধ’র্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৯ অক্টোবর উপজেলার কবিরাজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা ও আলামত নষ্টের অভিযোগে স্থানীয় ইউপি সদস্য হানিফ উদ্দিনকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শিশুটির চাচা বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা করেছেন। সোমবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর কবিরাজপাড়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আবু সাইদের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। রাত ৯টার দিকে একই গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে খবির (২০), মকবুল হোসেনের ছেলে নুরুজ্জামান (২০), জয়নাল আবেদীনের ছেলে শান্ত (১৮) ও ইসমাইল হোসেনের ছেলে জিহাদ (১৮) বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গণধ’র্ষণ করে। পরে বিষয়টি ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানায়।
পরদিন ধর্ষকদের পরিবারের লোকজন স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ইউপি সদস্য হানিফ উদ্দিনসহ গ্রামের অন্যান্য মাতব্বরদের দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা এবং ধ’র্ষণের আলামত নষ্টের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি জানতে পেরে রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি সদস্য হানিফ উদ্দিনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে স্কুলছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বাবাহারা ওই স্কুলছাত্রীর মা কর্মসংস্থানের জন্য সৌদি আরবে কর্মরত থাকায় বর্তমানে সে চাচার আশ্রয়ে রয়েছে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর ছিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে ইউপি সদস্য হানিফ উদ্দিনকে আটক করে আদালতে নেয়া হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।