আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের উচ্চ আদালত এই মাসের শুরুর দিকে সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানিতে জানায়, ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাকে বাতিল করার বিষয়টি পর্যালোচনা করবে আদালত। এ বিষয়ে উচ্চ আদালত কেন্দ্রের কাছ থেকেও জবাব চেয়েছে। খবর এনডি টিভির।
এর আগে, ন্যাশনাল কনফারেন্স ও অন্যরা জম্মু ও কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করার বিষয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপকে বেআইনি ও অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে দেশটির উচ্চ আদালতের কাছে আবেদন করে। পাশাপাশি, কাশ্মীর টাইমসের কার্যনির্বাহী সম্পাদক গণমাধ্যমের উপর থেকে প্রতিবন্ধকতা প্রত্যাহার করার বিষয়েও আবেদন জানিয়েছেন। বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি জম্মু ও কাশ্মীরে আটক থাকা দলীয় নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামির মুক্তির জন্যেও আদালতে আবেদন করেন।
ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আবেদনগুলি গ্রহণ করেন। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি এস এ বোবদ এবং এস আবদুল নাজির।
ভারত সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো পিটিশনগুলির যুক্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির যে নির্দেশের মাধ্যমে সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত হওয়া রাষ্ট্রের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়েছিল, তা অবৈধ।
আবেদনে বলা হয়েছে, ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে এই জাতীয় নির্দেশ কেবল তখনই জারি করা যেতে পারে যখন ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভারও সম্মতি থাকবে। ১৯৫১ সালে ওই রাজ্যের বিধানসভার সম্মতিক্রমেই সংবিধানের ধারাটি প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাই এটি রদের বিষয়ে সিদ্ধান্তটিও রাজ্য বিধানসভার মতামত তথা সম্মতির উপর নির্ভরশীল।
তবে, সরকার দাবি করেছে যে রাজ্যটি রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে থাকাকালীন, রাজ্য বিধানসভার ক্ষমতাগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংসদে স্থানান্তরিত হয়ে গেছে । সুতরাং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নির্দেশের উপরেই গোটা বিষয়টি নির্ভরশীল।
উল্লেখ্য, হত ৫ই অগাস্ট ভারত সরকার তাদের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে। এ নিয়ে যে কোনও ধরণের প্রতিক্রিয়া এড়াতে ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা হয়, এবং বিশাল সমাবেশ করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এলাকায় ৫০,০০০ এর বেশি অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করাও হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।