স্পোর্টস ডেস্ক : খেলার মঞ্চটা এমন কখনো যে নায়ক হচ্ছে সেই আবার ভিলেন হবে। গত বিশ্বকাপেই মার্টিন গাপটিলের ব্যাট থেকে এসেছিল ২৩৭ রানের হার না মানা এক ইনিংস। ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। নিউ জিল্যান্ড প্রথমবারের মতো ফাইনালে তোলার অন্যতম নায়কও ছিলেন।
পরের আসরে এসে সেই গাপটিলই যেন হয়ে গেলেন ভিলেন। ফাইনালের আগে ৯ ম্যাচে ফিফটি পেয়েছেন মাত্র একটি। ওপেনিংয়ে তার ব্যাটিং ব্যর্থতায় অনেক ম্যাচেই কাঙ্খিত ফল পায়নি কিউইরা। তবু অভিজ্ঞ এই সেনানীর উপর আস্থা রেখেছে দল। খেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ ফাইনালেও।
ফাইনালের মঞ্চে এসে আরও কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতাই অর্জন হলো গাপটিলের। ব্যাট হাতে আবারও হলেন ব্যর্থ। ১৮ বলে করতে পারলেন মাত্র ১৯। পরে ফিল্ডিংয়ে নেমে ৫০তম ওভারের মহাগুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি থ্রো করলেন, যে থ্রো থেকে বাড়তি চারসহ মোট ৬ রান পেয়ে গেল ইংল্যান্ড। ম্যাচটা আসলে ঘুরে যায় তখনই, গড়ায় সুপার ওভারে।
এখানেই শেষ হলে কথা ছিল। ভাগ্যবিধাতা যেন গাপটিলের ললাটে আরও কিছু কষ্ট লিখে রেখেছিলেন। এত কিছুর পরও সুপার ওভারে এই হার্ডহিটারের উপর ভরসা রেখেছিল নিউজিল্যান্ড। যেখানে শেষ বলে স্ট্রাইক পান গাপটিল। সুযোগ ছিল নায়ক হওয়ার, কিউইদের যে ওই বল থেকে মাত্র ২ দরকার ছিল। কিন্তু গাপটিল সেটিকে বাউন্ডারি বা ছক্কা বানাতে পারলেন না। দৌড়ে নিতে পারলেন না ডাবলসও। ফলে সুপার ওভারও টাই হয়, বাউন্ডারির হিসেবে জিতে যায় ইংল্যান্ড।
এমন এক ম্যাচের পর আক্ষেপে পুড়ছে পুরো নিউ জিল্যান্ড দল। তবে গাপটিলের কষ্টটা ছিল আর দশজনের চেয়ে আলাদা। ভুলের অনুশোচনায় ক্ষতবিক্ষত এই ক্রিকেটার ম্যাচের পর মাঠের মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। মাঠে গড়াগড়ি খেয়ে কাঁদতে থাকা গাপটিলকে সান্ত্বনা দিতে ছুটে আসেন প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রাও। কিন্তু এমন কষ্টে কি কোনো সান্ত্বনায় কাজ হয়? হওয়ার কথাও না।
আরও পড়ুন: সাকিবকে সেরার পুরষ্কার না দেওয়ার এ কেমন যুক্তি দিলো আইসিসি
আরও পড়ুন: ম্যান অফ দ্যা ফাইনাল হয়েও যাকে ক্রেডিট দিলেন স্টোকস
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের সেরা পাঁচ বোলার হলেন যারা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।