বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা। শুক্রবার শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলে বিকেল ৫টা ১০ মিনিট পর্যন্ত। ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও পরে সময় বাড়ানো হয়।
কে জিতবে, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। এফডিসির প্রধান ফটকের সামনে সাধারণ জনতারও উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
২০১৯-২১ মেয়াদের এই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৪৯ জন। এর আগে প্রার্থীরা যথারীতি নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। এবার ফলের অপেক্ষা।
এবারের নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেল করে নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমী স্বতন্ত্র হিসেবে সভাপতি পদে লড়ছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী খলনায়ক মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াস কোবরা, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তবে সবার আশা, নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে মিশা-মৌসুমীর।
গত ৫ অক্টোবর ২০১৯-২১ মেয়াদের শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা থেকে জানা যায়, সভাপতি পদে লড়াই করছেন মৌসুমী ও মিশা সওদাগর। সহ-সভাপতির দুটি পদে রুবেল ছাড়াও প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহসাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।
এদিকে এই নির্বাচন নিয়ে নানান অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকাই সিনেমার ‘কিং খান’ খ্যাত শাকিব খান। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের নামে একটি প্যানেল এফডিসিকে জিম্মি করে রেখেছে। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে এফডিসিতে ভোট দিতে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এছাড়া এফসিডিতে অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে আনন্দ উৎসব বলে অভিহিত করেছেন চিত্রনায়ক ও এমপি আকবর হোসেন পাঠান ফারুক।
তিনি বলেন, শিল্পীরা কখনও হারে না, আবার জিতেও না। তারা সবসময় একরকম থাকে। সকালে জোয়ার আবার বিকালে ভাঁটা। এই হলো শিল্পীর জীবন। এটা তো নির্বাচন না, এটা একটা আনন্দ উৎসব। নির্বাচনে জয়ী হয়ে যেই আসুক তাকে চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে। আর যদি সে সাহস না থাকে তাহলে সেটা শিখে নিতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।