লাইফস্টাইল ডেস্ক : সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফি না পেলে আলস্য কাটতে চায় না। অফিসে বড্ড কাজের চাপ। এক কাপ কফি না হলে চলছে না। এই ভাবে সারাদিনে আমরা যে কত কাপ কফি পান করি তা বোধহয় নিজেরাও খেয়াল করি না। কিন্তু জানেন কি দিনে সর্বাধিক তিন কাপ কফি পানে বেড়ে যায় মাইগ্রেনের সমস্যা?
পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের এক বিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। কোন জাতীয় খাবার খেলে মাইগ্রেন হয় তা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। ওই সব গবেষণাতেও মাইগ্রেনের জন্য ক্যাফেইন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার একদল গবেষকও কফি বা ক্যাফেইন জাতীয় বেভারেজ বা পানীয়ের সঙ্গে মাইগ্রেনের যোগ খুঁজে পেয়েছেন। তবে ওই সমীক্ষায় কফির মাত্রার উপর মাইগ্রেনের সমস্যা নির্ভর করে বলে জানান হয়েছে। আমেরিকার এক মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয় গবেষণাটি। সেখানে বলা হয়েছে, যাঁরা তীব্র মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন তাঁদের দু’কাপের বেশি কফি না খাওয়াই ভাল।
গবেষকরা ৯৮ জন এমন প্রাপ্তবয়স্কের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়, যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে। ওই ৯৮ জন সারাদিনে কত বার চা, কফি, সোডা জাতীয় ক্যাফিইনেটেড ড্রিঙ্ক গ্রহণ করেন তার তালিকা সংগ্রহ করেন গবেষকরা। ছ’সপ্তাহ ধরে চলে এই সমীক্ষা। এই ছয় সপ্তাহে তাঁদের কতবার, কতক্ষণ ধরে মাইগ্রেন হয় সেই নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়।
এতে দেখা গিয়েছে, যাঁদের তীব্র মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তাঁরা সারাদিনে দু’কাপ কফি বা ক্যাফিনেইটেড ড্রিঙ্ক পান করলেও সমস্যা হয়নি। কিন্তু কফির মাত্রা তিন কাপ বা তার বেশি হতেই শুরু হয় মাথা যন্ত্রণা। অন্য এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা খুব কম ক্যাফেইনেটেড ড্রিঙ্ক পান করেন তাঁরা যদি কোনও একদিন দু’কাপও কফি পান করেন তাহলে তাঁদের শুরু হয় মাথা যন্ত্রণা। এর কারণ হল, যে কোনও ক্যাফেইন জাতীয় খাবার মাইগ্রেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ক্যাফেইন গ্রহণের করলে তা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে দেহের শক্তি তাৎক্ষণিক বৃদ্ধি পায় এবং ঘুম কেটে যায়। তাই নিয়মিত মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগলে ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।